‘ভারসাম্য আনতে চাই সবুজ উইকেট’
করোনা-উত্তর সময়ে ক্রিকেটের অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় বলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে মুখের লালা ব্যবহার করতে পারবেন না বোলাররা। ক্রিকেট সেক্ষেত্রে বোলারদের জন্য কিছুটা কঠিন হয়ে পড়বে। এছাড়াও অনেক নতুন নিয়ম যুক্ত হচ্ছে ক্রিকেটে।
হাবিবুল বাশার বলেছেন, ‘যখনই সবুজ উইকেটের কথা বলি, আমাদের কিউরেটররা উইকেট পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পাওয়ার কথা বলেন। কিন্তু এখন উইকেট বিশ্রাম পায়নি বলার সুযোগ নেই। আমি বিশ্বাস করি, ঘাসের উইকেট তৈরিতে গুরুত্ব দিতে হবে যাতে আমাদের বোলাররা কিছু পায়। বিশেষ করে লংগার ভার্সনে কারণ লালা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তা না হলে, খেলাটা অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান নির্ভর হয়ে যাবে।’
স্পিন নির্ভর উইকেটে খেলে অভ্যস্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ড ও ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ র্যাংক টার্নার বানিয়ে। লো বাউন্স, স্লো উইকেটের ফর্মুলা থেকে বের হয়ে আসার চিন্তা করছে বাংলাদেশ। গত বছরের শেষ দিকে ভারত সফর একটা বড়ো শিক্ষা হয়ে দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের সামনে। উপমহাদেশের প্রতিপক্ষ হলেও মুমিনুলদের বিরুদ্ধে পেসারদের নির্ভরতায় খেলেছে ভারত। এবং দুটি টেস্টই ইনিংস ব্যবধানে জিতেছে।
ঘরের মাঠে টার্নিং উইকেটের উলটো চিত্রটাও দেখেছে বাংলাদেশ। গত বছর চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে স্পিনিং উইকেট তৈরি করে হারের তিক্ততা হজম করেছিল স্বাগতিকরা। কোচ, টিম ম্যানেজমেন্টের অনুরোধ না রেখে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান একাই স্পিনিং উইকেটের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন। চার স্পিনার নিয়ে সাজানো একাদশকে অনায়াসে হারিয়েছে আফগানরা।
বর্তমানে নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয় তিনটি ভেন্যুতে। মিরপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেটেই খেলা হয়ে আসছে। বিসিবির জ্যেষ্ঠ কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু ক্রিকবাজকে বলেছেন, করোনার বিরতি কিছু ভেন্যুতে ঘাসের উইকেট তৈরিতে সাহায্য করবে তাদেরকে। তবে সব জায়গায় নয়। কিন্তু এসব ঘাস বাংলাদেশের রোদের বিপরীতে কতদিন টিকে থাকবে তা নিয়ে সন্দিহান তিনি। কারণ বাংলাদেশে রোদের তীব্রতা বেশ হেরফের হয় বছর জুড়ে।