প্যারিস নাদালেরই
ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন দুজনই। রাফায়েল নাদালের সামনে হাতছানি প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ফ্রেঞ্চ ওপেনের ১১তম শিরোপা জেতার। আর ডমিয়েন থিয়েমের প্রথম গ্র্যান্ড স্লামের। কিন্তু প্যারিস যে নাদালের! রোলাঁ গাঁরো তাঁকে দিয়েছে দুহাত ভরে। বিমুখ করল না এবারও। থিয়েমকে সরাসরি সেটে বিধ্বস্ত করে নাদাল জিতলেন ১১তম গ্র্যান্ড স্লাম। ৬-৪, ৬-৩, ৬-২ গেমের স্কোরলাইনই বলছে ম্যাচে কতটা অসহায় ছিলেন থিয়েম। অথচ ম্যাচে পুরো ফিট ছিলেন না নাদাল। তৃতীয় সেটের চতুর্থ গেমে নিতে হয় মেডিক্যাল টাইম আউটও। কিন্তু প্যারিস যে নাদালের! চোট নিয়েই জিতলেন ১৭তম গ্র্যান্ড স্লাম। তাঁর সামনে এখন শুধু ২০ গ্র্যান্ড স্লাম জেতা ফেদেরার।
যেকোনো গ্র্যান্ড স্লাম সবচেয়ে বেশি ১১ বার জেতার কীর্তি এত দিন ছিল মার্গারেট কোর্টের। ১৯৬০ থেকে ১৯৭৩ পর্যন্ত ১১টি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছিলেন এই অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি। ছেলেদের মধ্যে এমন নজির ছিল না কারো। ফ্রেঞ্চ ওপেনকে নিজের করে নেওয়া রাফায়েল নাদাল এখানে শেষ হাসি হেসেছেন ১০ বার। গতকালের জয়ে তিনিও পাশে বসলেন মার্গারেট কোর্টের। এ জন্য গর্বিত নাদাল, ‘কখনোই ভাবিনি প্যারিসে ১১টি গ্র্যান্ড স্লাম জিতব। এখানে সমর্থন পেয়েছি নিজের দেশের মতোই। কখনো মনে হয়নি খেলছি অন্য কোথাও। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আপনাদের সমর্থন না পেলে এতগুলো শিরোপা জিততে পারতাম না এখানে।’
ডমিনিক থিয়েম প্রতিপক্ষ বলেই একপেশে ফাইনাল হওয়ার শঙ্কা করেননি কেউ। কারণ ক্লে কোর্টে গত এক বছরে তিনিই নাদালকে হারিয়েছিলেন দুইবার। ১৯৯৫ সালে থমাস মুস্টারের ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ের পর প্রথম অস্ট্রিয়ান হিসেবে কোনো গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে ওঠা থিয়েম প্রথম সেট লড়েছেন পাল্লা দিয়ে। ছিলেন ৪-৪ গেমের সমতায়। সেখানেই তাঁকে থামিয়ে নাদাল সেটটা জেতেন ৬-৪-এ। এরপর দ্বিতীয় সেট থেকে ম্যাচে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি থিয়েমকে। বিবিসি