বৃথা গেল রাজিনের শতক, মিঠুন-সৌম্যদের জয়

সৌম্য সরকার। ফাইল ফটো

সৌম্য সরকার। ফাইল ফটো

চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের অষ্টম রাউন্ডের ম্যাচে জয় পেয়েছে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ। ক্রিকেট কোচিং স্কুলকে (সিসিএস) ৬ উইকেটে হারিয়েছে মোশাররফ রুবেল, সৌম্য সরকার, জুনায়েদ সিদ্দিকী, তাইজুল ইসলাম, আবু হায়দার রনি, আর মোহাম্মদ মিঠুনদের নিয়ে সাজানো রুপগঞ্জ।

৮ ম্যাচ খেলে ৫টি জয়, একটি টাই আর দুটি পরাজয়ে রপগঞ্জের সংগ্রহ দাঁড়ালো ১১ পয়েন্ট। টেবিলের তিন নম্বরে চলে এসেছে দলটি। ১২ পয়েন্ট করে নিয়ে শীর্ষে মুশফিকুর রহিমের মোহামেডান আর দুইয়ে প্রাইম দোলেশ্বর। অপরদিকে, ৮ ম্যাচ শেষে সাত পরাজয়ে মাত্র ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে ক্রিকেট কোচিং স্কুল।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (২৬ মে) আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে রাজিন সালেহের সিসিএস ২৪২ রান তোলে। জবাবে, ৪ উইকেট হারানো রুপগঞ্জ ১০ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে।

সিসিএসের হয়ে অনবদ্য শতক হাঁকান দলপতি রাজিন সালেহ। ১০৬ রান করেন রাজিন। ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজিন সালেহ অপরাজিত ছিলেন ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। ২১৩ মিনিট ক্রিজে থেকে ১৩৮ বল মোকাবেলা করে ৮টি চার আর একটি ছক্কায় তিনি তার ইনিংসটি সাজান। ১২৫টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলে ক্যারিয়ারে এটি রাজিনের পঞ্চম শতক। তিন রানের জন্য ব্যক্তিগত ইনিংস সর্বোচ্চ রানের দেখা পাননি রাজিন। এর আগে ১০৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

ওপেনার পিনাক ঘোষ ৩০ রান করে বিদায় নেন। তারুণ্যনির্ভর দলটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৬ রান আসে অমিত মজুমদারের ব্যাট থেকে। এছাড়া, সাঈফ হাসান ৩, সালমান হোসেন ০, উত্তম সরকার ৪, সাঈদ সরকার ২২ রান করে বিদায় নেন।

রুপগঞ্জের হয়ে তিনটি উইকেট নেন দলপতি মোশাররফ রুবেল। তাইজুল ইসলাম নেন দুটি উইকেট। আবু হায়দার রনি পান একটি উইকেট।

২৪৩ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার সৌম্য সরকার ২২ রান করে বিদায় নেন। আরেক ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী ১৬ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন। তিন নম্বরে নেমে মাত্র ১০ রানের জন্য শতকের দেখা পাননি মোহাম্মদ মিঠুন। ১১৪ বলে চারটি বাউন্ডারি আর দুটি ওভার বাউন্ডারি থেকে ৯০ রান করেন তিনি।

তবে, রুপগঞ্জকে সহজ জয় পাইয়ে দিতে ব্যাট হাতে পাঁচ নম্বরে নামা ইনফর্ম ব্যাটসম্যান আসিফ আহমেদ অপরাজিত থাকেন ৭২ রান করে। তার ৭৫ বলে সাজানো ইনিংসে ছিল ৬টি চারের মার। ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন আলাউদ্দিন বাবু।

সিসিএসের হয়ে ১০ ওভারে ৩৮ রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট দখল করেন সাঈফ হাসান। সাঈদ সরকার একটি উইকেট পান।