নওগাঁয় আদিবাসী খ্রীষ্টানকে পুড়িয়ে হত্যা

Santal-Christian-killing

শুক্রবার এক সাথে মাঠে কাজ করেছেন লুইচ-জোগিতা দম্পতি। জোগিতা কাজ সেরে স্বামীর আগে বাড়ি ফিরেন। কিন্তু তার স্বামী লুইচ সরেনের আর বাড়ি ফেরা হলো না। তার পুড়া লাশ পাওয়া গেল পরের দিন পাশ্ববর্তি একটি গ্রাম জাবড়ীপাড়া থেকে।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহী কাথলিক ধর্মপ্রদেশের নওগাঁ জেলার ভূতাহারা ধর্মপল্লীর উপকেন্দ্র নিয়ামত সাব-সেন্টারের অধিনে চাপড়া আদিবাসীপাড়ায়।

স্বামীকে হারিয়ে এখন শুধু প্রলাপ বখছেন জোগিতা সরেন। তার প্রশ্ন কী দোষ ছিল তার স্বামীর? কেন খুন হতে হলো তাকে? তিনি নিয়ামতপুর থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ অবশ্য এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।
জানা গেছে, নিহত লুইচ সরেন (৪০) চাপড়া আদিবাসীপাড়ার মৃত শংকর সরেনের ছেলে।

স্থানীয় পুলিশ জানায়, দুবৃত্তরা লুইচকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে, খুনের আলামত বিনষ্ট করার জন্য মৃত দেহ আগুনে পুড়িয়ে দেয় এবং মুখ মন্ডল বিকৃত করে দেয়, যেন সহজে কেউ মৃত দেহ সনাক্ত করতে না পারে।

খবর পেয়ে যখন জোগিতা ও তার স্বজনেরা যান, তাদেরও মৃত দেহ সনাক্ত করতে কষ্ট হয়। পরে জোগিতা তার স্বামীর পায়ে চিহ্ন দেখে নিশ্চিন্ত হন যে এটা তারই স্বামীর মৃত দেহ।

ভূতাহারা ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার পিমে মিশনারী ইম্মালিও বলেন, “আমরা মৃত দেহ আশির্বাদ করে কবরস্থ করেছি। জানি না কে বা কারা এই দুঃখজনক ঘটনা ঘটিয়েছি। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই ও বিচার চাই। এখানকার আদিবাসীদের নিরাপত্তা চাই।”

ভূতাহারায় প্রায় ৩হাজার কাথালিক খ্রীষ্টভক্ত রয়েছেন। তারা প্রায় সবাই আদিবাসী।

দেশের উত্তরাঞ্চলের আদিবাসীরা জমির জন্য প্রায়ই অন্য সম্প্রদায়ের নিকট নির্যাতনের শিকার হন। তাদের জমি জোর করে দখল করে ভূমি সন্ত্রাসীরা। তবে লুইচ সরেনের হত্যাকান্ড কেন হলো তা এখনো বলা যাচ্ছে না।