খালেদা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, হাসিনার কোনও অবদান নেই: শাহ মোয়াজ্জেম
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধে শেখ হাসিনার কোনও অবদান নেই। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছেন। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী ভবনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাসভবনে হামলার প্রতিবাদে বিএনপি ওই সমাবেশের আয়োজন করে।
শাহ মোয়জ্জেম হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনা পুলিশ বিভাগকে দলীয় অঙ্গ-সংগঠনে পরিণত করেছেন। আরও অনেক প্রতিষ্ঠানকে অঙ্গ সংগঠনে পরিণত করেছেন। এর আগে ইয়াহিয়া, আইউব খানেরা এরকম করেও কি ক্ষমতায় থাকতে পেরেছেন, দুনিয়ার কোনও জালেম সরকার কি তা পেরেছে। আপনিও (প্রধানমন্ত্রী) এভাবে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। এ থেকে মুক্তি দেবেন জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া। তিনি (খালেদা জিয়া) স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে শেখ হাসিনার কোনও অবদান নেই।’
‘জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা ও যুদ্ধই করেননি। তিনি আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার পারমিশন দিয়েছেন’ বলেও মন্তব্য করেন শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন।
শাহ মোয়জ্জেম হোসেন আরও বলেন, ‘দেশের অবস্থা ভয়াবহ। সারা পৃথিবীর মানুষ দেখছেন আপনি (প্রধানমন্ত্রী) কী করছেন। আপনি বিনা ভোটে জবরদখল করে ক্ষমতায় রয়েছেন। হৃত অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে দলের নেতাকর্মীদের খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে জিয়ার সৈনিকদের দায়িত্ব নিতে হবে।’
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের বক্তব্যের সমালোচনা করে শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, ‘আপনি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বললে মামলা দেওয়া হবে। আপনি তো মামলা বিভাগের মন্ত্রী না, পোকা খাওয়া বিভাগের মন্ত্রী।’
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন, বিচারপতি খায়রুল হকের রায় ঠিক আছে। সংবিধানে এ অধিকারটা দেওয়া আছে। তিনি আইনের লোক হয়ে কীভাবে বলেন। দয়া করে সংবিধানটা একটু দেখে নেবেন।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরলে তাকে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পরিণতিই ভোগ করতে হবে বলে মনে করেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। মির্জা আব্বাস ও এমকে আনোয়ারসহ অনেককে জেলে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘ঢাকা মহানগর বিএনপিতে সাদেক হোসেন খোকার অবদানের কথা কে না জানে। দুরারোগ্য রোগে তিনি আমেরিকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারপরেও তার বিরুদ্ধে মামলার পর মামলা। তিনি যদি দেশে আসেন তার কপালেও একই পরিণতি হবে, যা মির্জা আব্বাস ও এমকে আনোয়ারের কপালে হয়েছে।’
ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী আবুল বাসারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সহ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।