দুদকের মামলা বাতিল চেয়ে তারেকের শাশুড়ির আবেদন
সম্পদের হিসাব সংক্রান্ত দুদকের মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু।
মঙ্গলবার সকালে এই আবেদন করা হয়। আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের পাশাপাশি সম্পদের হিসাব দাখিলের জন্য পুনরায় নোটিশ দেয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চের মঙ্গলবারের কার্য তালিকায় শুনানির জন্য আবেদনটি অন্তভুর্ক্ত রয়েছে।
২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারি ইকবাল মান্দ বানুকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয় দুদক। ওই নোটিশ ইকবাল মান্দ বানুর পক্ষে তার বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক জাকির হোসেন গ্রহণ করেন।
পরে এই নোটিশের বিরুদ্ধে ইকবাল মান্দ বানু হাইকোর্টে রিট পিটিশন করলে তাতে স্থগিতাদেশ দেয়া হয়। এরপর দুদকের পক্ষে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বরাবর সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল দায়ের করা হলে হাইকোর্ট বিভাগের স্থগিতাদেশ স্থগিত করা হয়।
আপিল বিভাগ সর্বশেষ ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রিট পিটিশন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্ট বিভাগের স্থগিতাদেশ স্থগিত করেন। আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বহাল থাকায় বর্তমানে ওই রিট-সংশ্লিষ্ট দুদকের কার্যক্রম পরিচালনায় আইনগত কোনো বাধা না থাকায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২৯ মে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারেক রহমানের দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে চার কোটি ২৩ লাখ ৮,৫৬১ দশমিক ৩৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনসহ সর্বমোট চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩,৫৬১ দশমিক ৩৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়।
পরবর্তী সময়ে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
সূত্র আরো জানায়, ওই চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ দশমিক ৩৭ টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদের মধ্যে জোবাইদা রহমানের নামে ৩৫ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া যায়।
তারেক রহমানের দাবি অনুসারে, ওই এফডিআরের অর্থ তার শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানু মেয়ে জোবাইদা রহমানকে দান করেছেন।
দুদকের তদন্তে ওই দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি। বরং জোবাইদা রহমান ও ইকবাল মান্দ বানুর মাধ্যমে তারেক রহমানের অবৈধ আয়কে বৈধ করার অপচেষ্টায় সহায়তা করেছে মর্মে প্রমাণিত হয়।
পরবর্তী সময়ে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ আদালতে মামলাটির চার্জশিট দাখিল করা হয়।