পরাজয় জেনে বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে ———-ওবায়দুল কাদের

r

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সিটি নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনেই বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। গতকাল রবিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দেশটির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত্ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অরুনরাং ফতং হামফ্রেইসের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। ‘সরকার নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের এই সকল আচরণে একটা বিষয় ক্রমেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, তারা লোক দেখানোর অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তাদের লক্ষ্য নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি জয়ী হওয়ার জন্য নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বরং নির্বাচনকে বিতর্কিত করার জন্য অংশ নিচ্ছে। তাই তারা পরাজয় মেনে নিয়ে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। তারা নির্বাচনকে বিতর্কিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ করতেই নির্বাচন কমিশন, ইভিএম ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে নানা সমালোচনা করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বছরের জুলাই-আগস্টের মধ্যে পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণ কাজ সরকার অনেক দূর এগিয়ে নিতে চায়। পদ্মা সেতুতে এখন প্রতি মাসেই তিনটি করে স্প্যান বসবে। এসব স্প্যান বসানোর কাজটা আমরা যথা সময়েই শেষ করতে পারব। আমাদের একটা টার্গেট হচ্ছে, আগামী জুলাই-আগস্টের মধ্যে কাজ আমরা অনেক দূর এগিয়ে নেব। এখানে আর কেনো বাধা নেই। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ফাস্ট ট্র্যাক প্রজেক্টের সভার বিষয়ে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ফাস্ট ট্র্যাকে পদ্মাসেতু এবং মেট্রোরেল আছে; আমাদের দুটি প্রজেক্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অগ্রগতি ভালো। বঙ্গবন্ধু টানেল, মাতারবাড়ি, রূপপুর ও পায়রা বন্দর নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বড়ো প্রকল্পে সময় এবং টাকা বাড়ে কি না—এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের আর টাকা বাড়ছে না। আগে যে যে কারণে বেড়েছিল সেগুলো আমরা আগেই বলেছি।’

থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং এমআরটি লাইন-৬ এর ৩ ও ৪ নম্বর প্যাকেজ বাস্তবায়ন করছে ইতাল-থাই। এর অগ্রগতি নিয়ে আলাপ আলোচনা হয়েছে। তাদেরকে আরো দ্রুত করতে বলেছি। ইতাল-থাইয়ের ফান্ড নিয়ে এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের নীতি গ্রহণ লেভেলের প্রতিনিধি মঙ্গলবার ঢাকা আসছেন। ফান্ডের বিষয়ে কোনো সমস্যা থাকলে তারা সমাধান করবে।’ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনে চীনের আগ্রহের বিষয়ে রোহিঙ্গাদের ফেরা নিয়ে আশা কমে যাচ্ছে কিনা—প্রশ্নে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করার মতো বিষয় এখনও দেখছি না। আমাদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করার মতো কিছু হলে আমরা অবশ্যই অবজেকশন রাইজ করব।