এরশাদ-রওশনের নতুন যাত্রা শুরু

রওশন এরশাদকে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান হিসেবে পেয়ে তার হৃদয় আজ আনন্দে ভরপুর এবং তাদের নতুন যাত্রা একসঙ্গে শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন  জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

রোববার (০১ মে) রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির প্রধান কার্যালয়ের সামনে মে দিবসের শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এরশাদ বলেন,  সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমার আনন্দ জানানোর ভাষা নেই।  দুর্যোগের ঘনঘটা শেষ হয়েছে। তার উপস্থিতিতে আমার হৃদয় আজ আনন্দে ভরপুর। আজকের দিনটি শুধু শ্রমিকদের জন্যই নয়, জাতীয় পার্টির জন্যও আনন্দের দিন।

সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,  ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সরকারের মান বেড়েছে না ক্ষুন্ন হয়েছে তা আপনারা জানেন। অনেক ইউপিতে আপনারা জিতেছেন, কিন্তু গণতন্ত্রকে পরাজিত করবেন না। খুন হত্যার ব্যাধি থেকে বাঁচতে হলে সবাইকে একসঙ্গে চেষ্টা করতে হবে। এটা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব না।

বর্তমানে দেশের অবস্থা ভালো না বলেও মন্তব্য করেন এরশাদ।

জাতীয় পার্টির  সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেন, মে দিবস এমন একটা দিন, যা সারা বিশ্বে পালন করা হয়। আমাদের দেশের নারী শ্রমিকরা সর্বক্ষেত্রে অবহেলিত। পোশাক শিল্পের বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার ২ লাখ শ্রমিক বর্তমানে বেকার। আমাদের দেশে কমর্মক্ষম লোক আছেন ১২ কোটি ৩৩ লাখ। তাদের মানব সম্পদে পরিণত করতে হবে। অর্থনীতির চাকা সচল রাখেন শ্রমিক ও মেহনতি মানুষ। তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের ১৮ হাজার টাকা বেতন দেওয়া উচিত। ঢাকা শহরে একজন মানুষকে বাসা ভাড়া করে থাকতে যে খরচ হচ্ছে, তার সংকুলান নয়তো সম্ভব নয়।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার পাওয়ার জন্য যেসব আইন আছে তা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত   হচ্ছে না। শ্রমিক নেতৃত্বও ঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে শ্রমিকরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এসব দিকে এখন নজর দিতে হবে।

মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন,  সকল ষড়যন্ত্র ভেদ করে জাতীয় পার্টি আবার ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। পল্লীবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা গ্রামে গ্রামে শহরে মানুষের কাছে যাবো। কেউ চিরদিন ক্ষমতায় থাকে না। আগামী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দলকে সংগঠিত করতে হবে।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু, এস এম ফয়সাল চিশতী, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী ও প্রেসিডিয়াম মশিউর রহমান রাঙা।