সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আইনের প্রয়োগ চান সুরঞ্জিত
রাজপথের যাত্রা নির্বিঘ্ন করার আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় দেশবাসীর সঙ্গে তাঁরাও এখন উদ্বিগ্ন।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ রোববার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সুরঞ্জিত।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘আজকে দেখলাম আমাদের ভূমিমন্ত্রীর ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। এভাবে বছরে ছয় হাজার দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যায় এবং ২১ হাজার আহত হয়। যার কারণ হচ্ছে—আমরা আইনের ব্যবহার ও প্রয়োগ করতে পারছি না। কোনো অজুহাত না দিয়ে আইনের প্রয়োগ করতেই হবে। এই চ্যালেঞ্জ আমাদের সরকারকে গ্রহণ করতেই হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এক বঙ্গবন্ধু সেতুর সামনেই দুর্ঘটনায় সাতজন মারা গেছেন। এতে দেশবাসী উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। দেশবাসীর সঙ্গে আমরাও উদ্বিগ্ন। আমরা এর সমাধান চাই। কালকে এর সমাধান চাই—এমন না। কিন্তু এর সংখ্যা কমাতে হবে। আমাদের রাজপথের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে হবে।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘তাদের যে সমস্যা আছে, সেটা তাদেরই সমাধান করতে হবে। এবং আশা করব নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক পথে তারা রাজনীতি করবেন। করলে সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সাহায্য-সহযোগিতা তারা পাবেন। তারা যে মিটিং করেছে, আমরা কী সাহায্য দেয় নাই, দিয়েছি।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সংলাপের আহ্বানের বিষয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘হঠাৎ করে তিনি আইসা বলতেছেন আমার সঙ্গে আইয়া সংলাপ করেন। আপনার সঙ্গে কী সংলাপ করব? আপনারে দেখলে তো সঙ মনে হয়। আর আলাপটা কী করব? আলাপের তো কিছু নাই। যা আছে বইতে লেখা আছে, সংবিধানে লেখা আছে।’
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা হস্তান্তরের আর কোনো পদ্ধতি নেই। সুতরাং নির্বাচনের জন্য এখন বিএনপিকে অপেক্ষা করতে হবে। গত সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে খালেদা জিয়া ভুল করেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। তারেক রহমানের বুদ্ধি আর খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তে সঠিক সিদ্ধান্ত আসবে না বলেও মন্তব্য করেন সুরঞ্জিত।
বিএনপিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, দেখতে দেখতে এই সরকারের দুই বছর পার হয়ে গেছে। দল ঠিক করুন, দেখতে দেখতে নির্বাচনের সময় চলে আসবে।’ ক্ষমতা নির্ভর রাজনৈতিক দল অতীতে টেকেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষমতা নির্ভর রাজনৈতিক দল টিকে থাকলে তো তো মুসলিম লীগই টিকে থাকত। জাসদের অবস্থা দেখেন! এখন আওয়ামী লীগ তো ইনু মিয়ারে কোরামিন দিয়ে টিকিয়ে রেখেছে। জাসদ কি আর সেই অবস্থায় আছে? আপনাদেরও একই অবস্থা হবে।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, আওয়ামী লীগের নেতা হাসিবুর রহমান, আবদুল হাই, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার প্রমুখ।