এমন গণতন্ত্র যে অনুমতি নিয়ে সমাবেশ করতে হয়: ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার এমন গণতন্ত্র এনেছে যে, অনুমতি নিয়ে সভা-সমাবেশ করতে হয়। তাঁর অভিযোগ, সরকার একদলীয় শাসন পাকাপোক্ত করতে আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্রের কথা বলছে।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর মাওলানা ভাসানী মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। বিএনপির অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদল ‘কলঙ্কিত ১/১১ সংবিধান ও গণতন্ত্রের দুঃসময়ের কাল’ শীর্ষক ওই আলোচনার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, গণতান্ত্রিক পরিবেশকে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। বিএনপি সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং করতে গেলে অনুমতি নিয়ে করতে হয়।
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু ব্রিজ তৈরি করা উন্নয়ন নয়। উন্নয়ন হচ্ছে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন, জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন। মানুষ যখন স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারবে, মুক্ত চিন্তা করতে পারবে, সেটা উন্নয়ন।
ক্ষমতাসীন সরকারকে ফ্যাসিবাদী আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। ফ্যাসিবাদী কোনো সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন। তারপরও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে এবং নেতা-কর্মীদের চিন্তাভাবনা ও কর্মকাণ্ডে পরিবর্তন আনার তাগিদও দেন তিনি।
এক-এগারোকে ভয়াবহ দিন উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সেই দিন কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষকে নিয়ে সেনাবাহিনীর একটি অংশ অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল। আশঙ্কার বিষয় হলো সেই শাসন ব্যবস্থাকে পরে রাজনীতিবিদেরা বৈধতা দিয়েছেন।
অন্যদের মধ্যে ছাত্রদলের সহসভাপতি এজমল হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ বক্তব্য দেন।