‘টার্গেট কিলিং’ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে
‘অন্যান্য দেশের তুলনায় দেশে জঙ্গি তৎপরতায় যে ‘টার্গেট কিলিং’ হচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও আগের চেয়ে ভালো’।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা ও রাজধানীর কলাবাগানে জোড়া খুনের ঘটনার পর মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতে যে অস্থিরতা চলছে, সে অবস্থায় আমাদের দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করতে ষড়যন্ত্র সব সময় ছিল। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে টার্গেট কিলিং করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, জঙ্গি তৎপরতা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে তা বলবো না। তবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমাদের পুলিশ, গোয়েন্দারা কাজ করছেন। এসব টার্গেট কিলিং ২০ দলীয় জোটসহ সুবিধাভোগীরা করাচ্ছে। শিবির ও জঙ্গি সন্ত্রাসীরা কখনও জেএমবি, কখনও আনসারুল্লাহ বাংলাটিম বলে খুন করছে। আসলে জামায়াত-বিএনপি যাই হোক, শেকড় এক।
কলাবাগানে মার্কিন দূতাবাসের সাবেক কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয় হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অগ্রগতি প্রসঙ্গে এখনও বলার মতো সময় আসেনি বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
‘তদন্ত করে সঠিক ঘটনা জানাতে পারবো। তবে টার্গেট কিলিং যেভাবে হয় সেভাবেই হয়েছে’- যোগ করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, কিছু আলামত হত্যাকারীরা রেখে গেছে, প্রত্যক্ষদর্শীও রয়েছে। তদন্ত করে বিষয়টি জানা যাবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাশিমপুর কারাগারের ঘটনা বিচ্ছিন্ন, সাধারণ খুনের মতো। তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কলাবাগানের খুন টার্গেট কিলিং।
তিনি বলেন, তনু হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ভিন্ন। রহস্য সামনে আসবে। অপেক্ষা করুন।
আশুলিয়ায় পুলিশ হত্যা, তাবেলা সিজার হত্যা, হোসিও কোনি হত্যা, বগুড়ায় শিয়া মসজিদ, চট্টগ্রামের নেভি মসজিদের ঘটনার হত্যাকারীদের চিহ্নিত করেছি। খুনিদের অনেককে গ্রেফতার করেছি। অনেক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।