মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহক ছয় কোটি ছাড়াল
মোবাইল ব্যাংকিং সেবার নিবন্ধিত গ্রাহকসংখ্যা ছয় কোটি ছাড়িয়েছে। চালুর সাত বছরের মাথায় এই সেবার এজেন্ট সংখ্যাও আট লাখ ছাড়িয়েছে।
জানা গেছে, ২০১১ সালের মার্চে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক প্রথমবারের মতো দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে। এ পর্যন্ত ৫৭টি ব্যাংকের মধ্যে ২৮টি ব্যাংককে এই সেবা চালুর অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে ২০টি ব্যাংক সেবাটি চালু করতে পারলেও পরবর্তী সময় দুটি ব্যাংক সেবাটি বন্ধ করে দেয়। ফলে বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা ব্যাংকের সংখ্যা ১৮টিতে নেমে আসে। ২০১৩ সালের নভেম্বরে প্রথম এই সেবার নিবন্ধিত গ্রাহকসংখ্যা এক কোটি ছাড়ায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ পর্যন্ত দেশে মোবাইল ফিন্যানশিয়াল সার্ভিসেসের (এমএফএস) নিবন্ধিত গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় কোটি এক লাখ ৫২ হাজার। এর মধ্যে শুধু মার্চ মাসে নিবন্ধিত গ্রাহক বেড়েছে পাঁচ লাখ সাত হাজার।
মোবাইল ব্যাংকিং নামে পরিচিত এই সেবার এজেন্ট বেড়ে মার্চে দাঁড়িয়েছে আট লাখ চার হাজার ৬১০ জনে। গত ফেব্রুয়ারিতে এই সংখ্যা ছিল সাত লাখ ৯৬ হাজার ৭৩৪ জনে। সেই হিসাবে মার্চে এজেন্ট বেড়েছে সাত হাজার ৮৭৬ জন।
তবে নিবন্ধিত গ্রাহক বাড়লেও এই সেবার সক্রিয় হিসাব তুলনামূলক কম। গত মার্চে নিবন্ধিত গ্রাহকের মধ্যে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ গ্রাহকের হিসাব সক্রিয় ছিল। গত মার্চে সক্রিয় হিসাব ছিল দুই কোটি দুই লাখ ৬২ হাজার।
ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের লেনদেনসংখ্যা বাড়লেও টাকার পরিমাণ ছিল কম। ফেব্রুয়ারিতে এই সেবার মাধ্যমে ১৬ কোটি ২০ লাখের কিছু বেশি লেনদেন হয় যার আর্থিক পরিমাণ ছিল ২৮ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে মার্চে ১৮ কোটি ১০ লাখের কিছু বেশি লেনদেন হয়েছে যার আর্থিক পরিমাণ ছিল ৩১ হাজার ৩৩৯ কোটি টাকা। মার্চে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল এক হাজার ১১ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে এই সেবার মাধ্যমে গ্যাস-বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন সেবার বিল পরিশোধ বেড়েছে ২৯ শতাংশ। বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কেনাকাটার বিল পরিশোধ বেড়েছে ৬.৫ শতাংশ। বেতন-ভাতা বিতরণ বেড়েছে ৪.৫ শতাংশ। ব্যক্তি হিসাব থেকে ব্যক্তি হিসাবে অর্থ স্থানান্তর বেড়েছে ৯.৩ শতাংশ।