ইমতিয়াজ মাহমুদের প্রতারণার শিকার মাইক্রোসফটের ব্র্যান্ড এম্বাসেডর

25591653_10215311309364400_4617395687546999497_n

27072749_740752456114629_488133340509371822_nনারীবাদী লেখক ও বিশিষ্ট চিত্রগ্রাহক ইমতিয়াজ মাহমুদের অশ্লীল কথন সহ ফেসবুক স্ক্রীনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। ষাটোর্ধ এই প্রবীণ ব্যাক্তি বাংলাদেশের মাইক্রোসফটের ব্র্যান্ড এম্বাসেডর মিস জান্নাতুল নাইম প্রীতিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জান্নাতুল নাঈম প্রীতি গতকাল ২২ শে জানুয়ারী তাঁর ফেসবুকে লেখেন

আমার বলতে দ্বিধা নেই মানুষটাকে আমি ভালোবেসেছিলাম, তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলাম। মানুষ তো মানুষকেই ভালোবাসবে। তাই প্রথমেই তার ব্যক্তিত্বকে ভালবেসেছিলাম। আমি জেনেছিলাম তিনি একা, নিঃসঙ্গ। আমার মনে হয়েছিল অসম্ভব অসুখী তিনি। অবশ্য তিনি নিজেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সেই নিঃসঙ্গতা কাটানোর, প্রেমের এবং বিশ্বাসের। মানছি আমারই ভুল ছিল, কারণ তিনিতো বিবাহিত। কিন্তু তিনি আমাকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন একটি সুন্দর ভালোবাসাময় আগামীর। এতোদিন পরে জেনেছি তিনি কেবল মজা করেছেন, বিশ্বাস নিয়ে খেলেছেন, ভালোবাসার কথা বলেছেন- কিন্তু সেসব কথা, বিশ্বাস, স্বপ্ন ও আস্থা তিনি রাখেননি। আমি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে, ভালো হিসেবে প্রমাণ করতে চাইনা। কেবল চাই সবাই এই মানুষটিকে চিনে রাখুক। চিনে রাখুক কারণ তিনি যেন আর কারও বিশ্বাস ও স্বপ্নভঙ্গের কারণ না হন। কেউ যেন আমার মতো কষ্ট না পায় তার থেকে, এটুকুই চাওয়া।

এদিকে মিস প্রীতির এই স্ক্রীনশর্ট গুলো পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে দেখা যায় যায় যে বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক ষাটোর্ধ ইমতিয়াজ মাহমুদ দিনের পর দিন নানাবিধ ছলনায় মিস প্রীতিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাঁকে নানাভাবে প্রতারিত করে গেছেন। সেসব স্ক্রীনশটে দেখা যায় এই প্রবীণ নারীবাদী অত্যন্ত কদর্য ও নোংরা ভাষায় মিস প্রীতির সাথে কথপোকথন চালিয়ে গেছেন। তিনি নিজের স্ত্রীকে অন্য মেয়েদের কাছে ছোট করে নিজেকে অসুখী, ডিভোর্স হয়ে যাচ্ছে, হবে, এই রকম কথা বলে প্রেম করতেন। এইসব প্রেমের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিলো বিভিন্ন মেয়েদের সাথে অনৈতিক দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলা।

26992073_740752422781299_4966315658004979445_nএই ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বেশীরভাগ মানুষই এই প্রবীন নারীবাদীর এহেন কর্মকান্ডে বিব্রত ও লজ্জিত। তিনি বিভিন্ন সময়ে অনলাইনে নারীর উপর নিগ্রহ, নারীর সাথে প্রতারণা ইত্যাদি বিষয়ে নিয়মিত জ্ঞান-গর্ভ বক্তব্য রাখতেন।

তিনি অনলাইনে নারীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্কের বিপক্ষেও জনসম্মুখে শক্ত অবস্থান নিতেন বলে জানা গেছে। এমন একজন ব্যক্তি ভেতরে ভেতরে এতটা কামুক ও চরিত্রহীন উপায়ে আরেকজন মেয়ের সর্বনাশ করছে এটি জেনে সকলেই এখন বিষ্মিত।

এই ব্যাপারে বিশিষ্ট নারীবাদী সোনিয়া জাহান শম্পার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন,

“আমি খুবই বিব্রত। এই নোংরা লোকটাকে নিয়ে কথা বলতে আমার ঘেন্না পাচ্ছে”

এদিকে এই ব্যাপারে ইমতিয়াজ মাহমুদের স্ত্রী জেনিফা জব্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফোন করে পাওয়া যায়নি অভিযুক্ত ইমতিয়াজ মাহমুদকেও।

আমাদের এই প্রতিবেদক ইমতিয়াজ মাহমুদের চেম্বার বলে খ্যাত আব্দুল জব্বার এসোসিয়েটসে যোগাযোগ করলে তারা এই ব্যাপারে কথা বলবে না বলে জানিয়ে দেন।

এই ব্যাপারে বিভিন্ন অনলাইন একটিভিস্ট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব বেশ কয়েকজনের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় যে ইমতিয়াজ মাহমুদ আইনজীবি নাম দিয়ে ফেসবুকে একাউন্ট খুল্লেও আসলে তিনি তার শ্বশুরের চেম্বারে চাকুরী করেন। নারীবাদ ও পাহাড়ের বিভিন্ন অঞ্চলের সমস্যা তিনি ঢাকাতে বসেই লেখেন বলে আমাদের এই প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। কিছুদিন আগে পার্বত্য চট্রগ্রাম নিয়ে মিথ্যে সংবাদ প্রকাশের দায়ে ও দেশে দাঙ্গা লাগাবার অভিযোগে ইমতিয়াজ মাহমুদের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারাতে মামলা করা হয়েছে যেটির বিচারকাজ এখনো চলছে।

আজম/কা/য়ানা/১২৩৪/৫০০