ব্লগার সিদ্দিক সহ ২০ জনের বিরুদ্ধে ধর্মানুভূতিতে আঘাতের মামলা, তদন্ত করছে পি বি আই

siddik mamla

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে আজকে ঢাকার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত নং-১ আদালতে ২০ জন লেখকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন রায়হান আলী সুমন নামের এক ব্যাক্তি। এই ২০ জন ব্যাক্তির মধ্যে রয়েছেন মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, আরিফুর রহমান,মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন, এনায়েতুল হুদা, সৈয়দ সানভী অনিক হোসাইন, রুজভেল্ট হালদার, হুসাইন মোহাম্মদ পারভেজ, সৈয়দ ইশতিয়াক হসেন, মোঃ তোফায়েল হোসেন, আবু তাহের মোহাম্মদ মোস্তফা, এ বি এম মাহমুদুল হাসান, সৈয়দ মোহাম্মদ সজীব আবেদ, মোঃ তামজিদ হোসাইন, হোসনি মোবারক, নাঈমুল ইসলাম, এম ডী নুরুন নবী, রিয়ানা তৃণা, কামিকাজি,পিনাকী দেব অপু,শারমিন জান্নাত ভুট্টো, শাফি নেওয়াজ।

“এথিস্ট ইন বাংলাদেশ” নামের একটি ম্যাগাজিনে লেখালেখি করে মহানবী হযরত মুহম্মদ সাঃ এর বিরুদ্ধে কুৎসা রটাবার অভিযোগে এই মামলা করা হয়। সুমনের গ্রামের বাড়ী সুনামগঞ্জ হলেও তিনি থাকেন ঢাকার ধামরাইয়ে।

এই মামলার বাদী জনাব রায়হান আলী সুমন মামলার আরজিতে বলেন যে প্রধান বিবাদী সিদ্দিক তাকে বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাস্তিকতা বিষয়ক লেখা পড়তে দিত এবং সে নিজস্ব ব্লগে ও ম্যাগাজিনে নিয়মিত লেখালেখি করত। সিদ্দিক ও তার পরিবারকে সুমন আগে থেকে ভালো করেই চিনত।

সিদ্দিক প্রায়ি তাকে নাস্তিক বিষয়ে বিভিন্ন লেখা দিয়ে তাকে উত্যক্ত করত। সাম্প্রতিক সময় এথিস্ত ইন বাংলাদেশের ওয়েব সাইটের ঠিকানা তাকে দিয়ে বলে যে এই সাইটের থেকে প্রকাশিত ম্যাগাজিনের নতুন ইস্যুতে তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। কৌতূহলের কারনে এই ম্যাগাজিনের লেখা পড়তে গিয়ে সুমন দেখেন এখানে মূলত সকল ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগাররা ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কটুক্তি ও ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করছে। এথিস্ট ইন বাংলাদেশের নতুন ইস্যুতে “মুহাম্মদের জ্ঞ্যানের বহর” শীর্ষক একটি লেখার মাধ্যমে সিদ্দিক প্রবল ভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেন।

তিনি এই প্রতিবেদককে আরো বলেন যে আমি মনে করি আইনের মাধ্যমেই ব্যাপারটা সুরাহা করা ভালো সে কারনেই আমি আদালতে গিয়েছি। তবে আইন এই ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তীতে সিদ্দিকের কিছু হলে আমি দায়ী থাকব না।

এদিকে সুনামগঞ্জে বাসায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বাসায় এখন কেউ নেই। পাশের বাসার প্রতিবেশীকে এই ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন সিদ্দিকের পরিবারের সদস্যরা কোথায় এটা তিনি জানেন না। তবে তিনি শুনেছেন তার বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ম অবমাননার মামলা হয়েছে।

এই ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার এস আই সাজ্জাদ হোসাইনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন “এই মামলা এখন তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই ব্যাপারে আমি মন্তব্য করব না”