করোনা ভাইরাস :চীন থেকে কেউ দেশে ফিরতে চাইলে সরকার নিয়ে আসবে

aj

চীনে অবস্থানকারী বাংলাদেশি কোনো নাগরিক স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে চাইলে সরকারি উদ্যোগে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এই নির্দেশ দেন। সরকারি হিসাবে চীনে অবস্থানকারী বাংলাদেশীর সংখ্যা আড়াই শতাধিক। তবে অন্যান্য সূত্র মতে অন্তত ৪০০ বাংলাদেশি এখন চীনে রয়েছেন। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকার ইতিমধ্যে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। সব বিশেষায়িত হাসপাতাল করোনা ভাইরাস কর্নার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে বাংলাদেশের এ বিষয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। তবে সরকার সতর্কতামূলক প্রস্তুতি রাখছে। বিমানবন্দরে শারীরিক পরীক্ষা ছাড়াও যারা দেশে ফিরে আসে তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখা হবে।

ডে-কেয়ারে নিরাপত্তা ঘাটতি হলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা

শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন ২০২০ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপনে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক এবং শিশুদের নিরাপত্তার ঘাটতিতে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। নিবন্ধন ছাড়া শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন করা হলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার কথাও বলা আছে। ডে-কেয়ার সেন্টারের জন্য নিবন্ধন পরিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নিতে হবে। তিন বছরের জন্য নিবন্ধন দেওয়া হবে। অন্য সব বিষয়ে বিধিতে বিস্তারিতভাবে বলে দেওয়া হবে। নিবন্ধন না করে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন করলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। সনদ প্রদর্শন না করা পর্যন্ত প্রতিদিন ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা গুণতে হবে।

আইনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলা হয়, যেহেতু এখন যৌথ পরিবার প্রথাটা কমে আসছে এবং নারীরা বেশি করে কাজে যুক্ত হচ্ছে সেজন্য তাদের ছোটো সন্তানদের দেখাশোনা করার জন্য শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের সেবা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, চিকিত্সা, সুরক্ষা, বিনোদন, শিক্ষা, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বা অনুরূপ বিষয়গুলোর নির্ধারিত মান বিধি দিয়ে নিশ্চিত করা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে মাতৃদুগ্ধ পান করানোর জন্য আলাদা জায়গা রাখতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্যও দিবাযত্ন কেন্দ্রে বিশেষ অবকাঠামো সুবিধা রাখতে হবে।

প্রস্তাবিত আইনে চার ধরনের শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হলো- সরকারি ভর্তুকিপ্রাপ্ত; সরকার অথবা সরকারি কোনো দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা অথবা কোনো স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা কর্তৃক বিনামূল্যে পরিচালিত; ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত এবং ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সংস্থা বা সংঘ বা সমিতি বা করপোরেট সেক্টর বা শিল্প খাত কর্তৃক অলাভজনক উদ্দেশ্যে পরিচালিত।

এছাড়া লক্ষ্মীপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০ এবং বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২০-এর খসড়ায় মন্ত্রিসভা নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে বলে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।