৩ যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি, ৫ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
বিচারপতি আনোয়ারুল হক নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার এই রায় ঘোষণা করে।
রায়ে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা পাঁচ অভিযোগের মধ্যে তিনটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
এর মধ্যে আসামি মো. আশরাফ হোসেন, মো. আব্দুল মান্নান, মো. আব্দুল বারীকে প্রাণদণ্ড দিয়ে আদালত রায়ে বলেছে, সরকার ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অথবা গুলি করে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারবে।
এ মামলার বাকি পাঁচ আসামি অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক ওরফে ‘বদর ভাই’, এস এম ইউসুফ আলী, ইসলামী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা শরীফ আহাম্মেদ ওরফে শরীফ হোসেন, মো. আবুল হাশেম ও হারুনকে দেওয়া হয়েছে আমৃত্যু কারাদণ্ড।
আসামিদের মধ্যে শামসুল ও ইউসুফ রায়ের সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।আমৃত্যু সাজার রায়ের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে আপিল করার সুযোগ পাবেন তারা।
বাকিদের পলাতক দেখিয়েই এ মামলার বিচার চলে। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে হলে তাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে।
এই আট আসামি একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর সহযোগিতায় গঠিত রাজাকার ও আল-বদর বাহিনীতে যোগ দেন।
সে সময় জামালপুরের বিভিন্ন এলাকায় তারা যেসব মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড ঘটান, তা এ মামলার বিচারে উঠে এসেছে।
এই রায়ে ‘সন্তুষ্ট নন’ জানিয়ে কারাগারে থাকা দুই আসামি শামসুল ও ইউসুফের আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম বলেছেন তারা আপিল করবেন।
অন্যদিকে প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, রায় দেখে পর্যালোচনা করে তারা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত রায় আসা ২৫টি মামলার ৪৪ আসামির মধ্যে মোট ২৬ যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ সাজার আদেশ হল।