শিক্ষক লাঞ্ছনায় ‘দায়সারা’ প্রতিবেদনে আদালতের ক্ষোভ, ফের দাখিলের নির্দেশ
নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠ-বস করানোয় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্পর্কিত প্রতিবেদন রোববার আদলতে উপস্থাপন করে পুলিশ। তবে তবে এ প্রতিবেদনকে ‘দায়সারা গোছের’ আখ্যা দিয়ে ফের বিস্তারিতভাবে উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পরবর্তী তারিখে দায়সারা প্রতিবেদন দিলে প্রতিবেদন দাখিলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন আদালত।
নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আজ (রোববার) শিক্ষক লাঞ্ছনা সম্পর্কিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হলে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী ৮ জুন ডিসি ও এসপিকে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে আদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে এ মামলায় পরবর্তী আদেশের জন্য ৯ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালত আদেশে বলেন, ‘ডিসি, এসপি ও ওসির দাখিল করা প্রতিবেদন সুস্পষ্ট নয়, এগুলো দায়সারা গোছের।’
আদেশের পর আইনজীবী মহসিন রশিদ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, যদি ওই প্রতিবেদনও দায়সারা হয় তাহলে হাইকোর্ট এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
গত ২৬ মে নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের কাছ থেকে পদত্যাগপত্রে জোর করে স্কুল পরিচালনা পর্ষদ স্বাক্ষর নিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি আদালতকে জানায়।
গত ১৮ মে নারায়ণগঞ্জে স্কুল শিক্ষককে কান ধরে উঠবস করার ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই ঘটনায় কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা সংশ্লিষ্টদের ৩ দিনের মধ্যে আদালতকে জানাতে বলা হয়।
আইনজীবী খলিলুর রহমান ও মহসিন রশিদ পত্রিকায় প্রকাশিত শিক্ষকের কান ধরে ওঠ-বস করার ঘটনায় প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন। এরপর আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করেন।
গত ১৪ মে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে বিদ্যালয়ের ভেতরে অবরুদ্ধ করে স্থানীয় জনতা। পরে স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে তাকে কান ধরে ওঠ-বস করানো হয় বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়।