জোর করে পদত্যাগপত্রে সই নিয়েছিল স্কুল পরিচালনা পর্ষদ
নারায়ণগঞ্জে এমপি কর্তৃক লাঞ্ছিত শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই নিয়েছিল স্কুল পরিচালনা পর্ষদ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়ে। হলফনামা করে প্রতিবেদন আকারে তা আদালতে জমা দেয়া হবে।
সেখানে বলা হয়েছে, যে প্রক্রিয়ায় শ্যামল কান্তিকে বরখাস্ত করা হয়েছিল তা বিধি বহির্ভূত ছিল। তাই তাকে ওই পদে বহাল রাখা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যে ছাত্রের বক্তব্যের ভিত্তিতে শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছিল, সেই শিক্ষার্থীও ‘একেক সময় একেক কথা বলেছে’।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যে ছাত্রের বক্তব্যের ভিত্তিতে শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছিল, সেই শিক্ষার্থীও ‘একেক সময় একেক কথা বলেছে’।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ এবং নারায়ণগঞ্জের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুস জামান স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযোগকারী মো. রিফাত হাসানের স্কুল কমিটির সামনে উপস্থাপিত জবানবন্দি ও গণমাধ্যমে প্রদত্ত জবানবন্দি সেইসঙ্গে রিফাতের মায়ের লিখিত অভিযোগের মধ্যে গরমিল পাওয়া যায়, তাই বিতর্কিত বিষয়টির সত্যতা গ্রহণযোগ্য নয় বলে বিবেচিত হতে পারে।
উল্লেখ্য, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গত ১৩ মে বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে মারধর করে একদল লোক। এরপর তাকে কান ধরিয়ে উঠবস করান স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমান।