ব-দ্বীপ প্রকাশনীর মালিকসহ গ্রেপ্তার ৩
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে বিতর্কিত বই প্রকাশ করায় ব-দ্বীপ প্রকাশনীর মালিক শামসুজ্জোহা মানিকসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন প্রকাশনীর কর্মকর্তা ফকির তসলিম উদ্দিন কাজল ও লেখক শামসুল আলম চঞ্চল।
গতকাল তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে গ্রন্থমেলার ব-দ্বীপ প্রকাশন এর স্টল (১৯১) বন্ধ করে দেয়া হয়।
এরপর ওই প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ‘ইসলাম বির্তক’ বইয়ের সম্পাদনাকারী শামসুজ্জোহা মানিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শাহবাগ থানার এসআই মো. নিরু মিয়া বলেন, ১৫ই ফেব্রুয়ারি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে ব-দ্বীপ প্রকাশনীর মালিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর শাহবাগ থানায় থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদ রানা বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় একটি মামলা (নম্বর-২৩) দায়ের করেন।
তিনি আরো জানান, ব-দ্বীপ প্রকাশনীর স্টলে পুলিশি অভিযান চালানো হয়। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুক থেকে পুলিশ জানতে পারে, ব-দ্বীপ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত প্রবন্ধ সংকলন ‘ইসলাম বিতর্ক’ বইটিতে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো লেখা আছে। বাংলা একাডেমিকে বিষয়টি জানালে তারা স্টলটি বন্ধের নির্দেশ দেয়।
এ সময় স্টলে থাকা ‘ইসলাম বিতর্ক’ বইটির ৬ কপি পুলিশ জব্দ করে। বইটি সম্পাদনা করেছেন শামসুজ্জোহা মানিক।
এছাড়া, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার মতো লেখা আছে কি-না, তা অনুসন্ধান করতে একই প্রকাশনী থেকে আরো পাঁচটি বই জব্দ করেছে পুলিশ।
বইগুলো হলো- শামসুজ্জোহা মানিক ও শামসুল আলম চঞ্চল রচিত ‘আর্যজন ও সিন্ধু সভ্যতা’, এমএ খান অনূদিত ‘জিহাদ : জবরদস্তিমূলক ধর্মান্তরকরণ, সাম্রাজ্যবাদ ও দাসত্বের উত্তরাধিকার’, শামসুজ্জোহা মানিকের ‘ইসলামের ভূমিকা ও সমাজ উন্নয়নের সমস্যা’, একই লেখকের প্রবন্ধ সংকলন ‘ইসলামে নারীর অবস্থা’ এবং ‘নারী ও ধর্ম’।