পারলে আমাকে দোষী প্রমাণিত করুন—নেইমারের চ্যালেঞ্জ
মাঠে একের পর এক অবিশ্বাস্য মুহূর্ত উপহার দিয়ে চলেছেন, দর্শকদের আনন্দ জুগিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু মাঠের বাইরের নেইমার কি খুশি? আইন-আদালতের ঝামেলা যে বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডকে স্বস্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। আর এত এত মামলা-বিতর্কে যেন কিছুটা বিরক্ত হয়ে উঠছেন ২৩ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান।
এবার নেইমার চ্যালেঞ্জই ছুড়ে দিলেন। চারদিকে যারা নানা কান কথা রটাচ্ছে, তাদের কারও কাছে যদি প্রমাণ থাকে, নেইমারের চ্যালেঞ্জ, পারলে তাঁকে দোষী প্রমাণ করুন। ব্রাজিলের গ্লোবোকে নেইমার বলেছেন, “নিজেকে নিয়ে আমি খুশি। তবে যারা উল্টো-পাল্টা কথা বলছে, ‘ও এটা করেছে’ ‘ওটা করেছে’—তাদের আগে সেগুলো প্রমাণ করা উচিত।’
বৃহস্পতিবার যে মামলার রায় বের হয়েছে, সেটিতে জড়িত ছিলেন নেইমারের বাবা। অন্য দুই মামলায়ও বিবাদী তালিকায় ওপরের দিকেই আছে নেইমার সিনিয়রের নাম। নেইমার তাঁর বাবার হয়েও ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন, ‘আমার বাবা সবকিছু করে যাচ্ছেন, যেন আমি ফুটবলেই মনোযোগটা রাখতে পারি। কিন্তু যখন আপনার কাছের কাউকে কষ্ট পেতে দেখবেন, আপনার কষ্ট লাগবেই।’
এমনিতেই সান্তোস থেকে বার্সেলোনায় তাঁর দলবদল নিয়ে স্পেন ও ব্রাজিলের আদালতে দুটি ভিন্ন মামলা চলছে। ব্রাজিলের আদালত এরই মধ্যে নেইমারের প্রায় ৪২ মিলিয়ন ইউরো পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। আর স্পেনের মামলাটিতে আজই আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার কথা।
এর মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার এল ছোট্ট একটি দুঃসংবাদ। এই দুই মামলার বাইরেও অন্য একটি কর ফাঁকির মামলায় ব্রাজিলের আদালত নেইমারকে ১ লাখ ১২ হাজার ডলার জরিমানা করেছে। অভিযোগ? ২০০৭-০৮ সালে, সান্তোসের মূল দলে অভিষেকেরও আগে, আয়কর ফাঁকি দিয়েছিলেন নেইমার। ২০১২ সালেই এই মামলার রায় এসেছিল, তখন এর বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন নেইমার ও তাঁর পরিবার। এত দিন পর আদালত সেই আপিল আবেদন নাকচ করে দিয়েছে।
টাকার অঙ্ক ব্রাজিল অধিনায়কের জন্য কোনো ব্যাপারই নয়, বার্সেলোনায় বর্তমান চুক্তিতে প্রতি সপ্তাহেই প্রায় ২ লাখ ১৫ হাজার ডলার আয় করেন নেইমার। কিন্তু দুটি মামলা কাঁধে ঝুলছে, এমন অবস্থায় এই রায় বার্সা তারকার জন্য একটু অস্বস্তিকর।
এই কষ্টটা তাঁর মাঠের পারফরম্যান্সে কোনো প্রভাব না ফেলুক, এটাই হয়তো চাইছেন বার্সা ও ব্রাজিল সমর্থকেরা। অবশ্য এই দুটি দল কেন, নিরপেক্ষ যেকোনো ফুটবল ভক্তই হয়তো চাইছেন, নেইমার শুধু ফুটবলের কারণেই আলোচনায় আসুন।