৫ তলা থেকে নবজাতককে ‘নিক্ষেপ’
রাজধানীর রমনার বেইলি রোডের এক ভবনের পাঁচতলা থেকে একটি নবজাতক নিচে পড়ে আহত হয়েছে।
শিশুটিকে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে ওই বাড়ির গৃহকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি নিজেকে ওই শিশুটির মা বলে দাবি করেছেন।
নবজাতকটিকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে আশঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে ওই পাঁচতলার ভবনের পাশের একতলা ভবনের ছাদ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় নবজাতকটিকে উদ্ধার করা হয় বলে রমনা থানার এসআই আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন।
ওই একতলা ভবনের ‘সায়মা ফ্যাশন’ নামে দোকানের কর্মচারী আব্দুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুপুর ১টার দিকে তাদের ছাদে ভারী কিছু পড়ার শব্দ হয়।
“সাথে সাথে ছাদে উঠে দেখি, একটি রক্তাক্ত নবজাতক কান্না করছে। তখন মালিককে ও পুলিশকে ফোন করি।”
এই ভবন থেকে ফেলে দেওয়া হয় শিশুটিকে এই ভবন থেকে ফেলে দেওয়া হয় শিশুটিকে
শিশুটিকে স্থানীয়রাই মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ এসে পাশের ভবনের পঞ্চম তলায় তল্লাশি করে ১৭ বছরের ওই গৃহকর্মীকে আটক করে।
এসআই আমিনুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ছেলেশিশুটি বিউটির। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর সেই শিশুটিকে বেলকনি দিয়ে ফেলে দেয়।
ওই গৃহকর্মীকে আটক করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে পুলিশ।
দুপুরে ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দুজন গৃহকর্মী ছাড়া শুধু পক্ষাঘাতগ্রস্ত গৃহকর্তাকে পাওয়া গেছে।
ওই গৃহকর্মী হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানায়, ১০ মাস আগে তিনি কুমিল্লায় বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়ে ভগ্নিপতি কর্তৃক ধর্ষিত হয়েছিলেন। তার ফলে তিনি গর্ভধারণ করেন এবং সোমবার তার শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়।
চিকিৎসকদের উদ্ধৃত করে আদ-দ্বীন হাসপাতালের এক সেবিকা বলেন, “বাচ্চাটি আশঙ্কামুক্ত, তবে বাম পা ভাঙা বলে মনে হচ্ছে। এক্সরে করা হয়েছে, সেই প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।