বাংলাদেশ দলে ৫ পরিবর্তন, ৪ জনের অভিষেক

পরীক্ষা-নিরীক্ষার সিরিজের প্রমাণ বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই দিল তৃতীয় ম্যাচে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে এক সঙ্গে চারজনের অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশ দলে।

চার জনের তিনজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেরই স্বাদ প্রথমবার পাচ্ছেন এই ম্যাচ দিয়ে-আবু হায়দার রনি, মুক্তার আলি ও মোসাদ্দেক হোসেন। পাঁচটি টেস্ট খেলার পর টি-টোয়েন্টি অভিষেক হচ্ছে মোহাম্মদ শহীদের।

আগের ম্যাচের একাদশ থেকে এই ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তন আছে পাঁচটি। চারটি পরিবর্তন ছিল অবধারিতই। চোটে ছিটকে যান মুশফিকুর রহিম। আপাতত বিরতি শুভাগত হোমকে পরখ করে নেওয়ার চেষ্টায়। বিশ্রাম পান দুই পেসার আল আমিন হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান। এদের সঙ্গে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে ওপেনার তামিম ইকবালও।

পেসার আবু হায়দার রনির উত্থান ছিল এবারের বিপিএলের অন্যতম আলোচিত অধ্যায়। ২১ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।

শহীদকে কিছুদিন আগেও ভাবা হচ্ছিল শুধু বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটেরই উপযোগী। কিন্তু তিনিও নিজেকে আলাদা করে চিনিয়েছেন বিপিএলে। ১৪ উইকেট নিয়েছেন টুর্নামেন্টে, তার চেয়েও বেশি নজর কেড়েছেন নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে।

মোসাদ্দেক ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন, সবই বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম সুযোগ পেলেন সবচেয়ে ছোট সংস্করণ দিয়ে।

মুক্তার ঘরায়া ক্রিকেটে খেলছেন বেশ অনেক বছর ধরেই। পারফর্মও করেছেন, তবে জাতীয় দলে ঢোকার দাবি জানানোর মত ধারাবাহিক ছিলেন না কখনোই। এক পেস বোলিং অলরাউন্ডারের সন্ধানে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়ে গেল তারও।

একসঙ্গে চারজনের চেয়েও বেশি অভিষেকের ঘটনা অবশ্য আছে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে। অভিষেক টি-টোয়েন্টির পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচটি খেলেছিল বছরখানেক পর। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে সেই ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল ছয় জন ক্রিকেটারের।

এর পরই সবচেয়ে বেশি অভিষেক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই ম্যাচে। এক ম্যাচে তিন জন অভিষেকের ঘটনা আছে আরও দুই দফায়। ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বেলফাস্টে, একই বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুরে।