স্বামীর ফাঁসির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন

দশ বছর আগে রাজধানীর শ্যামপুরে স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় স্বামী মাসুদ আলমের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) এ রায় দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শহিদুল ইসলাম খান।
মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের ১৭ মে শ্যামপুরের ফারজানা আক্তার মিতুর সঙ্গে মাসুদ আলমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ঘর জামাই থাকতেন মাসুদ। কিন্তু কোনো চাকরি না করায় প্রায় সময় দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকতো। সেই কলহের জের ধরে ২০০৬ সালের ২৫ মে মিতুকে মারধর করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

ওই ঘটনায় একইদিনে মিতুর বাবা আজহার আলী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ মামলার বিচার শেষে  ২০১১ সালের ৩ মে বিচারিক আদালত মাসুদের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দেন।

বিচারিক আদালতের রায়ের অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে আসে মামলার নথি। এই ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে মাসুদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট।