বিএনপি নেতা আসলামসহ দুজন ৭ দিনের রিমান্ডে
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী ও তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী আসাদুজ্জামান মিয়াকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় সাতদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আসলাম ও আসাদুজ্জামানকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি-উত্তর) পরিদর্শক গোলাম রব্বানী। অপরদিকে তাঁদের পক্ষের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া রিমান্ডের আবেদন নাকচ চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. শরিফুজ্জামান জামিনের আবেদন নাকচ করে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
গতকাল রোববার বিকেলে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেখান থেকে তাঁকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছিল।
গতকাল দুপুরেই আসলাম চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল পুলিশের পক্ষ থেকে। এমনকি তাঁকে যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহার।
সিএমপি কমিশনার তাঁর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এরই মধ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করে স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন আসলাম চৌধুরী।
গত ৯ মে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ইসরায়েলের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসির প্রধান মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর বৈঠকের খবর প্রকাশিত হয় ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম ‘জেরুজালেম অনলাইন ডটকম’-এ।
এরপর বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমেও মেন্দির সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বৈঠক সংক্রান্ত বেশ কিছু ছবি ও সংবাদ প্রকাশিত হয়। খবর প্রকাশিত হওয়ার পর দেশের রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়।