জাতিসংঘের মাধ্যমে আত্মসমর্পণে রাজি অ্যাসেঞ্জ
তিনি বলেছেন, জাতিসংঘের বিচারকদের প্যানেল তার বিরুদ্ধে আটকাদেশ জারি করলে তিনি শুক্রবার ব্রিটিশ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন।
এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য ও সুইডেনে আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আমি হেরে গেছি এই মর্মে জাতিসংঘ রায় ঘোষণা করলে আমি শুক্রবার ব্রিটিশ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করব। খবর এএফপি’র।
তিনি আরও বলেন, আমি আশা করছি আইনে আমার যে অধিকার সংরক্ষিত রয়েছে তার আওতায় অবিলম্বে আমার পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেয়া হবে এবং আমাকে আর গ্রেফতার করা হবে না।
গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আটকে আছেন অ্যাসেঞ্জ।
এদিকে জাতিসংঘের একটি প্যানেল অ্যাসেঞ্জকে ‘বেআইনিভাবে আটক’ রাখা হয়েছে বলে মত দিয়েছে। অ্যাসেঞ্জ সম্পর্কে মত দেওয়া জাতিসংঘের ওই প্যানেল মূলত বিভিন্ন দেশে লোকজনকে বেআইনিভাবে আটকে রাখার ঘটনা তদন্ত করে থাকে।
এই প্যানেলের কাছে সঠিক তদন্তের জন্য আবেদন করেছিলেন অ্যাসাঞ্জ। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ প্যানেল তাদের তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে। তবে তদন্তের ফল এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
অবশ্য জাতিসংঘ প্যানেলের ওই সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্য বা সুইডেন কর্তৃপক্ষকে মানতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা নেই।
২০১০ সালে আড়াই লাখ মার্কিন কূটনৈতিক তারবার্তা ও পাঁচ লাখ সামরিক গোপন নথি ফাঁস করে আলোড়ন সৃষ্টি করে উইকিলিকস। অ্যাসেঞ্জের ভয়, তিনি সুইডেনে আদালতের মুখোমুখি হলে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হবে।