রমজানে সহনীয় মুনাফার পরামর্শ বাণিজ্যমন্ত্রীর
আসন্ন রমজান মাসে মুনাফা সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, ব্যবসায়ীদের চাহিদা মোতাবেক সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করছে। সরবরাহ যাতে ঠিক থাকে সেজন্য আমদানি পণ্য দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রমজান মাসে ব্যবসায়ীরাও দায়িত্বশীল হবেন। দেশের মানুষ স্বাভাবিক পরিবেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারবেন।
রোববার এক বৈঠকে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রমজান উপলক্ষে নিত্যপণ্যের মজুত, সরবরাহ, আমদানি ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং মূল্য বৃদ্ধির কারসাজি রোধে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ বৈঠকের আয়োজন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় আমদানিকারক, পাইকারি খাতের ব্যবসায়ী এবং মট্যারিফ কমিশন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা বিভাগ, এনবিআর, টিসিবিসহ সংশ্নিষ্ট অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চিনি ও পেঁয়াজ ছাড়া সব ধরনের পণ্যের বাজারদর স্বাভাবিক রয়েছে দাবি করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সব ধরনের নিত্যপণ্য মজুদ অনেক বেশি রয়েছে। তাই রমজানে পণ্যের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। তার পরও যদি কোনো ব্যবসায়ী পণ্য মজুদ করে দাম বাড়ায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কঠোরভাবে বাজার মনিটর করবে।
চিনির বাজার সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, চিনির দাম বিশ্ববাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ ডলার। তাই চিনির দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। রোজায় পণ্যের দাম বাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, সবাই রোজা শুরুর আগেই ১৫ দিনের বাজার করে ফেলে। এজন্য প্রথম দিকেই বাজারে চাপ পড়ে। ১৫ দিন পরে আবার বিক্রেতারাই তাড়াহুড়া করে বিক্রির চেষ্টা করে। বিক্রি করতে না পারলে তো নষ্ট হয়ে যাবে। সুতরাং প্রথম রোজার দাম দিয়ে সারা মাসের দাম বিচার করা ঠিক হবে না।
মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা বলেন, স্থলবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের খালাস দ্রুত করতে হবে। পাশাপাশি এসব পণ্যবাহী পরিবহনকে সহজে চলাচলের ব্যবস্থা করে নিতে হবে। ভোজ্যতেল ও চিনি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মিলগেট থেকে দ্রুত পণ্য ছাড় করার ব্যবস্থা করতে হবে। ম
এদিকে ব্যবসায়ীরা মহয়রানি বোধ করেন এমন কার্যক্রম থেকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। ব্যবসায়ীরা বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বাজারে গিয়ে হয়রানি করছেন। তারা বলছেন, ৫০ কেজির বস্তায় মোড়কীকরণ করা যাবে না, ৩০ কেজি করে মোড়ক করতে হবে। বস্তার গায়ে দাম লিখতে হবে। এ ধরনের বস্তা না থাকলে জরিমানা করার হুমকি দিচ্ছেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্যমন্ত্রী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে উদ্দেশ করে বলেন, রমজান মাসে আপনারা দাম ও ওজনের বিষয়ে খোঁজ-খবর মরাখেন। অন্যান্য বিষয়ে রমজানের পরে দেখা যাবে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শফিকুল ইসলাম লস্কর কিছু বলেননি। ম
বৈঠকে বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন আহমেদসহ বিভিন্ন খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন