কোম্পানিগুলোর কর বহির্ভূত রাজস্ব দ্বিগুণ হচ্ছে
দেশের প্রাইভেট ও পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিগুলোর নিবন্ধনসহ সব ধরনের ফিস (কর বহির্ভূত রাজস্ব) প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। এই ফিস পুনঃনির্ধারণের ফলে ৭০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হবে প্রায় দেড়শ’ কোটি টাকা।
সোমবার (০২ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের তফসিল-২ অনুযায়ী এই ফিস পুনঃনির্ধারণ করা হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বিষয়টি জানান।
এর আগে, সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের দুই নম্বর তফসিল অনুযায়ী ফিস পরিবর্তন আনা হয়েছে। আট বছর পর কোম্পানিগুলোর ফিস পুনঃর্নিধারণ করা হলো। এর আগে একবার পুনর্বিন্যাস করা হয়। আট বছর পার হয়ে গেছে। আমাদের অর্থনৈতিক কাঠামো অনেক বড়, তাই রাজস্ব সংগ্রহে কিছু বাধ্যবাধকতা আছে।
রাজস্ব সংগ্রহজনিত বাধ্যবাধকতার কারণে ফিস বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয় মন্ত্রিসভায়।
সচিব জানান, আমরা এই খাত থেকে ৭০ কোটি টাকা পাই। রাজস্ব বৃদ্ধি পেলে দেড়শ’ কোটি টাকা এ খাত থেকে আসবে।
উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শেয়ার মূলধন সম্পন্ন কোম্পানিগুলোর নামে মূলধন অনধিক ২০ হাজার টাকা হলে নিবন্ধন ফিস ছিল ৩০৭ টাকা, তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭০০ টাকা করা হয়েছে।
প্রথম ২০ হাজার টাকার ঊর্ধ্ব থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতি ১০ হাজার বা এর অংশ বিশেষের জন্য জন্য ১৮০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫০ টাকা করা হয়েছে।
মূলধন ৫০ হাজারের ঊর্ধ্বে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রতি ১০ হাজার বা এর অংশ বিশেষের জন্য ৪৫ টাকা ছিল তা বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে। প্রথম ১০ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রতি ১০ হাজার বা এর অংশ বিশেষের জন্য ফিস ২৪ টাকা ছিল সেটাকে ৫০ টাকা করা হয়েছে।
একইভাবে এ আইনের অধীন অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কিছু অনুমোদন বা নিবন্ধনের জন্য লিপিবদ্ধ করতে ফিস ২০০ টাকা ছিল তা বাড়িয়ে ৪০০ টাকা করা হয়েছে। রিসিভার নিয়োগ নিবন্ধন ফিস ২০০ টাকা ছিল তা বাড়িয়ে ৪০০ টাকা করা হয়েছে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দ্বিগুণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রিপষিদ সচিব শফিউল আলম বলেন, মূলধন বিহীন কোম্পানি এবং ধারা ২৮ এর অধীন প্রদত্ত লাইসেন্সের ক্ষেত্রে সমবিধি অনুসারে কোনো কোম্পানির সদস্য সংখ্যা অনধিক ২০ জন, সে ক্ষেত্রে ফিস ৬০০ টাকা ছিল, তা বাড়িয়ে ১২০০ টাকা করা হয়েছে। সদস্য সংখ্যা ২০ এর অধিক ১০০ পর্যন্ত হলে নিবন্ধন ফিস ১৫০০ টাকা ছিল তা বাড়িয়ে ৩০০০ টাকা করা হয়েছে।
সংঘ স্মারকের জন্য ৩০০ টাকা ছিল তা বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করা হয়েছে। আর অন্যান্য দলিলের জন্য ১০০ টাকা ছিল তা বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে। সাধারণ ক্ষেত্রে নথিপত্র পরিদর্শনের জন্য ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা এবং সত্যায়িত অনুলিপি পরিদর্শনের জন্য ১০০ টাকা ছিল তা বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে।
সার্বিকভাবে বলা যায় ফিস দ্বিগুণ করা হয়েছে, যোগ করেন সচিব।