লন্ডন প্রবাসী নারীকে ধর্ষন ও এসিড মেরে ঝলসে দেবার হুমকি

n-logo

নিজস্ব প্রতিবেদক

লন্ডনে বসবাসরত ছাত্রী তাশানুভা ফেরদৌসীকে এসিড মেরে ঝলসে দেবার ও ধর্ষনের হুমকি দিয়েছে রামপুরায় বসবাসরত এক সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী রাশেদ আলী দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকার রামপুরায় বসবাসরত তাশনুভার পরিবারকে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিলো। আমাদের এই প্রতিবেদকের মারফতে জানা যায় যে তাশনুভা বাংলাদেশে থাকার সময়ই সন্ত্রাসী রাশেদ তাশনুভাকে নানাভাবে রাস্তায় উত্যক্ত করত। পরে পরিবার তাশনুভাকে উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে পড়তে পাঠালে সন্ত্রাসী রাশেদ আরো বেপোরোয়া হয়ে ওঠে এবং তাশনুভাকে তার সাথেই বিয়ে দিতে হবে বলে তাঁর পরিবারকে ক্রমাগত হুমকি দিতে থাকে। একটি পর্যায়ে এই ব্যাপারে রামপুরা থানাতে রিপোর্ট করা হলে রাশেদ তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তাশনুভার ছোটভাই কে রাস্তায় মারধর করে। এই ব্যাপারে একটি মামলা করতে গেলেও রাশেদ আওয়ামীলীগের থাকা উচ্চ পর্যায়ের নেতা বলে থানার কর্মকর্তা মামলা নিতে গড়িমসি করে।

প্রতিটি দিক থেকে থেকে চাপ এর সম্মুখীন হয়ে তাশনুভার পরিবার ও মেয়েকে বিয়ে দিয়ে এ সমস্ত সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে চান, কিন্ত কোন প্রকার চেনাজানা ছাড়া তাশনুভা কাউকে বিয়ে করতে রাজী হন নি। ফলাফল স্বরূপ পরিবারের সঙ্গে বহু সংগ্রাম করে তিনি একটা পর্যায়ে বিদেশে পালিয়ে আসেন।

তাশনুভা প্রথমবার বিদেশ থেকে দেশে যাওয়ার পর তার পরিবার এই বিয়ের পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। এই ঘটনার পর থেকে রাশেদ আলী আরো বেশী ভয়ানক হয়ে ওঠে এবং ক্রমাগত ভাবে তাশনুভার পরিবারকে নানাভাবে উত্যক্ত ,হুমকি ও এলাকাছাড়ার ধমক দিতে থাকে। এরমাঝে গত দের বছর আগে তাশনুভা দেশে ফিরে যাবার কথা ভাবেন, ছোট ভাই কে জানান যে সে দেশে যাবার ব্যাপারে জানান এবং ফেসবুক এ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস ও লিখেছিলেন। এরপর হঠাৎ করেই সেই সন্ত্রাসী তাশনুভার মোবাইল এ ফোন করতে থাকে। এদিকে যুক্তিরাজ্যে বসবাসরত তাশনুভার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদের কাছে একটি অডিও রেকর্ডিং পাঠান যেখানে শোনা যায় যে সন্ত্রাসী রাশেদ তাশনুভাকে ধর্ষন করবার ও এসিড মেরে ঝলসে দেবার হুমকি দিচ্ছে।

এই ব্যাপারে তাশনুভা তাঁর ভীতির কথা আমাদের এই প্রতিবেদকের কাছে বলেন এবং সরকারের কাছে এই রকম অন্যায়ের বিচার চান। তাশনুভার ভাষ্যমত ‘এই সন্ত্রাসীর কনস্ট্যান্ট ফোন কল আর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ্য করতে না পেরে একদিন রাগে ও ক্ষোভে আবেগতাড়িত হয়ে আমি ফোন আছাড় দিয়ে ভেঁঙ্গে ফেলেছি। সেই থেকে আমার মানসিকচাপ খানিকটা কম”। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তাশনুভা দেশে প্রভাবশালী কাউকে চিনেন না বলে এ ব্যাপারে কিছুই করতে পারেছন না। এ হুমকির ব্যাপারে অভিযোগ করতে তাশনুভা যুক্তরায্যস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনে যোগাযোগ করলে তাঁরা এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবেন না এবং এটি তাদের এখতিয়ারে পড়েনা বলে জানান।

এই ব্যাপারে রামপুরা থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হন নি তবে সরেজমিনে তদন্ত করতে গেলে থানার এক নবীন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করবার শর্তে বলেন “রাশেদের নামে এরই মধ্যে বিভিন্ন থানায় অনেকগুলো মামলা হয়েছে কিন্তু সে আওয়ামীলীগের বড় নেতা বলে তার বিরুদ্ধে তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। তার ব্যাপারে ব্যবস্থা নিলেই তার গডফাদারেরা তাকে বাঁচাবার জন্য ক্রমাগত চাপ তৈরী করতে থাকেন। এরই মধ্যে এই থানা থেকে গত ৬ মাসে ৩ জন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা বদলী হয়েছেন”।

এই ঘটনায় রামপুরা থানার কাউন্সিলর ও মাননীয় সংসদ সদস্যের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলবার চেষ্টা করা হলে তাঁদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।