কুমিল্লাতে স্কুল ছাত্রী অপহরণের চেষ্টা, চাচার বিরুদ্ধে অভিযোগ

গতকাল কুমিল্লা সদর দক্ষিন থানাতে স্কুল ছাত্রী মাইশা উদ্দিন সামিয়া নামক এক ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলার অভিযোগে সেই ছাত্রীর চাচা জামাল ও জালাল উদ্দিন বখসীকে দায়ী করে অভিযোগ দিয়েছেন ছাত্রীর মামা মোঃ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী। উল্লেখিত অভিযোগকে আমলে নিয়ে থানাতে মামলা করা হয়েছে। তবে বাদীর অভিযোগ, পুলিশ মামলা নিতে ঘটনার প্রায় ১০ দিন পর্যন্ত ঘুরিয়েছেন তারপর মামলা নিয়েছেন।

এদিকে মামলা করবার পর ভয়ে ভয়ে পলাতক জীবন যাপন করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী জহিরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি জানান গত ৪ ই আগস্ট ঢুলিপারা নামক এলাকায় তার ভাগনী মাইশা কে নিয়ে স্কুল থেকে ফিরবার পথে তিন যুবক মটরসাইকেল যোগে গতিরোধ করে দাঁড়ায় তিনি ও তাঁর ভাগ্নী মাইশার। এই সময় যুবকেরা যুক্তরাজ্য প্রবাসী মাইশার মা আয়েশা চৌধুরীকে উচ্চস্বরে গালাগাল করতে থাকে এবং মাইশাকে ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা চালায়।

এই সময় জহিরের চিৎকারে আশে পাশের এলাকার লোক জড়ো হলে সেই যুবকেরা পালিয়ে যায়। জহিরুল এই ঘটনাত মাইশার দুই চাচা জামাল উদ্দিন বখসী ও জালাল উদ্দিন বখসীকে সহ শাহিদুর রহমান নামে আরেক যুবকের বিরুদ্ধে থানাতে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি বলেন এই তিন ব্যাক্তি তাঁর গতিরোধ করে তার ভাগ্নী কে ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা করে ও খুন করবার হুমকি দেয়।

উল্লেখ্য যে মাইশার মা আয়েশা ও মাইশার নামে কিছু জমি রয়েছে যেগুলো মাইশার বাবা মৃত সালাউদ্দিন বখশী মৃত্যু আগে মেয়েকে দিয়ে যান। সেই সম্পত্তি করায়ত্ত করতেই দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছিলো সালাউদ্দিনের দুই আপন ভাই জালাল ও জামাল। তারা বিভিন্ন সময়ে মাইশাকে ও তার মা’কে খুনের হুমকি দেয় বলেও এই প্রতিবেদক খোঁজ নিয়ে এলাকাবাসীর কাছে জানতে পারেন। এলাকাবাসী জানান যে মামলার তিনজন বাদীই কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যাক্তি এবং এদের ভয়ে কেউ কখনোই কোনো কথা বলেন না।

এই ব্যাপারে সদর দক্ষিন থানাতে যোগাযোগ করা হলে থানা থেকে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অপারগতা জানানো হয়।