পাহাড়তলীর বি এন পি’র কর্মীকে গুমঃ পরিবারের দাবী

চট্রগ্রাম মহানগরীর পাহারতলী উপজেলার বি এন পি’র কর্মী আফজাল হোসেনকে একদল সাদা পোষাকের লোক গতকাল ১লা ফেব্রুয়ারী রাতে একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে গেছে বলে পরিবারের দাবী। উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া ব্যাক্তি পাহাড়তলীর ফরিদ আহমেদের সন্তান। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে একটি মিথ্যে মামলায় আফজাল হোসেন দীর্ঘদিন এলাকায় আসতে পারেনি। মায়ের অসুস্থতার সংবাদ পেয়ে আফজাল মাকে দেখতে আসবার পর কে বা কাহারা এই সংবাদ পুলিশকে জানালে সাদা পোষাকের কিছু লোক নিজেদের ডিবি’র লোক পরিচয় দিয়ে পিস্তল উঁচিয়ে সবাইকে হুমকি দেয় এবং আফজালকে জোর করে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়। আফজালের পিতা ফরিদ আহমেদ দাবী করেন যে তার ছেলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত মামলা দেয়া হয়েছে কারন তার ছেলে বি এন পির একজন কর্মী ছিলো। এই সরকারের আমলে তার পরিবারকে অবর্ণনীয় কষ্ট আর হুমকির মধ্যে দিয়েও যেতে হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এইদিকে জানা যায় যে আফজাল হোসেনের নামে বিষ্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে ২০১২ সালেই একটি মামলা করা হয়েছিলো। নগরীর নয়াবাজার এলাকায় একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই মামলাটি দেয়া হয় এবং তার পর থেকেই আফজাল হোসেন পলাতক থাকে। এই মামলায় আরো ৪ জনের নাম থাকলেও মোহাম্মদ সোহেল নামে একজন আসামী ছাড়া বাকী সবাইকেই পলাতক দেখায় পুলিশ। এই পলাতকদের মধ্যে আফজাল হোসেনের নাম ছিলো। উল্লেখ্য যে এই মামলাতে আফজাল হোসেনের ৭ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। পরিবারের সূত্রে জানা গেছে যে আফজাল এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করবে বলে পরিবারের মাধ্যমে আইনজীবিও নিয়োগ দিয়েছিলো।

পাহাড়তলী থানার পুলিশের অফিসার ইনচার্জকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “পরিবার যদি দাবী করে যে ডিবির লোক পরিচয়ে এসে উঠিয়ে নিয়ে গেছে তাহলে ডিবি অফিসে যান। আমাদের পুলিশের অফিসে এসেছেন কেন?”

তিনি আরো বলেন যে এই ব্যাপারে আমাদের থানায় কোনো রকমের জিডি করা হয়নি এবং কাউকে এই এলাকা থেকে গুম করা হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই।

তিনি বলেন আফজাল, শরিফুল, ছলিম, নিয়াজ, সোহেল ছিলো এই এলাকার ত্রাস। সোহেল গ্রেফতার থাকলেও বাকী সবাই পলাতক। পুলিশ তাদের খুঁজছে। তিনি দাবী করেন যে, “পলাতক আসামী আফজাল তার অসুস্থ মা’কে দেখতে আসার মানে হচ্ছে পরিবার জানতো যে আফজাল কোথায় থাকে বা কি করে, তাহলে সে খবর তারা পুলিশকে দেয়নি কেন? এই কাজ করে তারা আইন অমান্য করেছে ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখায়নি”

এই ব্যাপারে ডিবি অফিসের সাথে যোগাযোগ করা হলে কর্তব্যরত অফিসার ইসমাইল হোসেন কোনো মন্তব্য করবেন না বলে এই প্রতিবেদককে জানান।

মোহাম্মদ আব্দুন নাফি/৩৪৫৬/গ্রিটা