সেই এসআই রতনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বেসরকারি আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় ঢাকার আদাবর থানার উপ-পরিদর্শক রতন কুমার হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার একটি আদালত।
এসআই রতন, ফাইল ছবি
সাময়িক বরখাস্ত এই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন আমলে নিয়ে মঙ্গলবার ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সালেহউদ্দিন আহম্মেদ পরোয়ানা জারির এই আদেশ দেন।সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনায় পুলিশ বাহিনীর সমালোচনার মধ্যেই এক যুবদল নেতার স্ত্রী ওই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এসআই রতনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনলে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ হয়।
ওই ছাত্রী মামলা করার পর আদালতের আদেশ পেয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমান বিষয়টি তদন্ত করেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যে প্রতিবেদন দেন, তাতে রতন হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা বলা হয়।
ওই তরুণীর অভিযোগ, ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রিকশায় বাসায় ফেরার সময় শিয়া মসজিদের কাছে তাকে আটকান এসআই রতন। এরপর তাকে একটি দোকানের ভিতরে নিয়ে সবাইকে বের করে দিয়ে স্বামীর খোঁজ জানতে তাকে তল্লাশি করা হয়।
“আমি বারবার মহিলা পুলিশ বা আশপাশের কোনো মহিলার সামনে অথবা থানায় নিয়ে তল্লাশি করার অনুরোধ জানালেও সে তা করেনি। এ সময় অশ্লীল কথা-বার্তা বলা ছাড়াও উনি আমাকে হোটেলের পতিতা এবং ইয়াবা ব্যবসায়ী বানানোর চেষ্টা করেন।”
ওই তরুণীর স্বামী যুবদল নেতা নাশকতার একটি মামলার আসামি। তবে তিনি জামিনে রয়েছেন বলে এসআই রতন সেদিনই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে স্বীকার করেছিলেন।
এসআই রতন মোহাম্মদপুরের এই দোকানের ভেতরে নিয়ে তল্লাশির নামে হয়রানি করেন বলে ওই নারীর অভিযোগ।
যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করে এই পুলিশ সদস্য বলেছিলেন, “হঠাৎ দেখা হওয়ায় রিকশা থামিয়ে তার স্বামীর খোঁজ জানতে চেয়েছি, এর চেয়ে বেশি কিছু না।”স্বামীর মামলার কারণে ওই তরুণী আগে একবার থানায় যাওয়ার পর পরিচয় হয়েছিল বলে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন এসআই রতন। যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার পরপরই পুলিশ কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
রতন হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে ঢাকা মহানগর পুলিশ এবং পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের পক্ষ থেকেও দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।