আ’লীগ আমলে কারও কথা বলার স্বাধীনতা নেই

মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এসময় দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদসহ বিএনপির গ্রেফতারকৃত নেতাদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমার দেশে সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ জাতীয় নেতাদের কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অবৈধ ক্ষমতার দর্পে বাহুবলী হয়ে আজ তারা (সরকার) মানুষকে মানুষ বলে তোয়াক্কা করছে না। ক্ষমতার মদমত্তে দখলবাজ, চাঁদাবাজ, ছিনতাইবাজ, হলমার্ক, শেয়ারমার্কেট ও সরকারি ব্যাংক লুটেরারাই বাজপাখির মতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
প্রধান বিচারপতিকে খালেদা জিয়ার মুখপাত্র বলায় বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের সমালোচনায় রিজভী বলেন, বিচারপতি শামসুদ্দিন হায়দার চৌধুরী মানিকের কথা শুনলে আপনার মনে হবে কোনো কসাই কথা বলছেন। এ কারণেই বিভিন্ন জায়গায় মানুষের রোষানলে পড়েন তিনি। প্রধান বিচারপতি আইনের পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে কথা বলছেন; আর তাদের নোংরা কর্মকাণ্ডগুলো উদ্ভাসিত হচ্ছে। এজন্য তারা সহ্য করতে পারছেন না। এ জন্যই বিভিন্ন মন্তব্য করছেন।
এসময় বিচারপতি মানিকের উদ্দেশে রিজভী বলেন, প্রধান বিচারপতি যদি খালেদা জিয়ার মুখপাত্র হয়ে থাকেন তাহলে আপনি কার মুখপাত্র ছিলেন? এটা তো গোটা দেশবাসী জানে! এত বড় একটি পবিত্রাঙ্গন, অসহার মানুষের শেষ ভরসারস্থলকে (হাইকোর্ট) আওয়ামী শাসকগোষ্ঠির কর্মসূচি বাস্তবায়নের কেন্দ্র পরিণত করেছিলেন আপনি।
তিনি বলেন, এ দেশে বিটিশ আমল থেকে উচ্চ আদালত কখনও এতো অশ্রদ্ধেয় হয়ে পড়েনি, আদালত এতো বিতর্কিত হয়নি। বিতর্কিত করেছেন এ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও খায়রুল হক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, নগর নেতা কাজী আবুল বাশার প্রমুখ।