শিশুটি বেশি ছোট তাই ধর্ষণ করতে না পেরে রাগে হত্যা করেছিঃ আদালতে মুয়াজ্জিনের স্বীকারোক্তি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মসজিদের মুয়াজ্জিন জহিরুল ইসলাম স্বীকার করেছেন ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েই শিশু সুমাইয়া আক্তারকে (৮) হত্যা করেছেন। রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতে তিনি এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার সকালে সুতালাড়া জামে মসজিদসংলগ্ন পুকুরে শিশু সুমাইয়া আক্তারের মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ দুপুর ১২টার দিকে মৃতদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের আলামত পাওয়া যায়। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জহিরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জহিরুল চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার রাগদুল এলাকার মৃত মোবারক হোসেনের ছেলে। সুমাইয়া নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সিংগারচারগোপাড়া এলাকার ওয়াজিদ মিয়ার মেয়ে। ওয়াজিদ মিয়া পরিবার নিয়ে সুতালাড়ার হাফেজ সিকদারের বাড়িতে বাস করছেন।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে আরবি পড়ার উদ্দেশ্যে সহপাঠীদের সঙ্গে সুতালাড়া জামে মসজিদে যায় শিশু সুমাইয়া। এরপর সব শিশুকে ছুটি দিয়ে দিলেও সুমাইয়াকে ছুটি দেননি মসজিদের মুয়াজ্জিন। তাকে মসজিদ ঝাড়ু দেওয়ার নাম করে রেখে দেন। পরে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান মুয়াজ্জিন জহিরুল। এক পর্যায়ে চেষ্টায় ব্যর্থ শিশুটিকে হত্যার পর গুম করার উদ্দেশ্যে পাশের পুকুরের পানিতে ফেলে দেন। এ ঘটনায় ওয়াজিদ মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় হত্যার পর গুম করার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।