প্রেমিকের সামনেই ধর্ষণ করেছে প্রেমিকাকে

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগী দেখতে আসা এক কলেজছাত্রীকে তার প্রেমিকের সামনেই ধর্ষণ করেছে মো. আসিফ নামের এক যুবক। হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ‘ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেল’ নামের পরিত্যক্ত কক্ষে আটকে রেখে প্রেমিকের গলায় ছুরি ধরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে এ অভিযোগে মামলা দায়ের করেন স্থানীয় বেসরকারি সংগঠন মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট খন্দকার অহিদুল আলম। আদালতের বিচারক শিরিন কবিতা আখতার চুয়াডাঙ্গা সদর থানাকে মামলাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৭ মে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বড়গাংনী গ্রামের এক কলেজছাত্রী চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালাতো ভাইকে দেখতে আসেন। ওই সময় ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে তার প্রেমিক সদর উপজেলার পিতম্বরপুর গ্রামের মো. মিঠুন ছিল। হাসপাতালে খালাতো ভাইকে দেখার পর মিঠুনের সঙ্গে হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় চুয়াডাঙ্গা বেলগাছি গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে মো. আসিফসহ চার যুবক তাদেরকে ডেকে নিয়ে পাশের ‘ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেল’ নামের পরিত্যক্ত কক্ষে আটক করে। এসময় প্রেমিকের গলায় ছুরি ধরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে মো. আসিফ। এ ঘটনার পর ২৪ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলেজছাত্রী লোকলজ্জার ভয়ে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট খন্দকার অহিদুল আলম জানান, এ বিষয়ে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধিত ২০০৩ এর ৯(১)/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি চুয়াডাঙ্গা সদর থানাকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করে এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোজাম্মেল হক জানান, এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।