রোজার আগেই অস্থির হয়ে উঠেছে নিত্যপণ্যের বাজার

রংপুরের রোজার আগেই অস্থির হয়ে উঠেছে নিত্যপণ্যের বাজার। কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ বেড়েছে। মাছ-মাংসের দামও আকাশ ছোঁয়া।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি পণ্যের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ২০ থেকে ১শ’ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলেছেন আমদানি কম থাকার কারণে বাজার ঊর্ধ্বমুখী। আর রাজধানীর বাজারে পণ্যের দাম বাড়ায় রংপুর অঞ্চলের বাজারে এর প্রভাব পড়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

রংপুর নগরীর প্রধান পৌর বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারে সব ধরনের জিনিসের দাম বেড়েছে। গত ৭ দিনের ব্যবধানে হঠাৎ করেই অস্থির হয়ে উঠেছে পৌরবাজার সহ নগরীর ২০টি বাজার।

দাম বেড়েছে চিনি, ছোলা, মশুরডাল, বুট, মাছ-মাংস, ডিম, দেশী মুরগি, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, রসুনের। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪শ’২০টাকা, খাশির মাংস ৬শ’থেকে সাড়ে ৬শ’ টাকা, দেশী মুরগি ৩শ’ ৮০টাকা, কাঁচা মরিচ ৪২ ও রসুন ১শ’২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি আমদানি কম থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি।

তবে চাল, লবন, মশলা, আলু ও কাঁচা বাজারের দাম কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও পোলাওয়ের চালের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মার্কেটিং অফিসার এ এস হাসান সারোয়ার জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ধরনের কার্যক্রম চালু রয়েছে। কিন্তু রাজধানী ঢাকার বাজার অস্থিতিশীল থাকায় তার প্রভাব পড়েছে এই অঞ্চলের বাজারে।

তিনি বলেন, প্রায় তিন লাখ জনসংখ্যার শহর রংপুরে দৈনিক চালের চাহিদা ১৫শ’ টন, মশলার চাহিদা ১শ’ ৮০ টন, অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চাহিদা ৪শ’৫০ টন। ছোট-বড় মিলে জেলার ৬৫ টি বাজার এই চাহিদা পূরণ করছে।

রংপুর পৌরবাজারে আসা ক্রেতা সুলতানা বলেন, রোজার আগে যে হারে সব নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। আমাদের মতো কম আয়ের মানুষদের অনেক সমস্যায় পড়তে হবে।

রংপুর পৌরবাজার দোকানদার বাবুল মিয়া জানান, ৭ দিনের ব্যবধানে প্রতিটি জিনিপত্রের দাম বেড়ে গেছে। রোজা আসার সঙ্গে সঙ্গে আরও দাম বাড়বে।

চাল ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম জানান, পুরান চাল বাজারে থাকায় তেমন একটা দাম বাড়েনি। নতুন চাল আমদানি হওয়ায় বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।

ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোস্তফা কামাল বলেন, রোজা আসলে সব জিনিপত্রের দাম বেড়ে যায়। এই বিষয়টা সব সময় হয়ে থাকে। আর ঢাকার বাজারে দাম বাড়লে বিভাগীয় শহরেও দাম বেড়ে যায়। তবে আমরা এ বিষয়গুলো নিয়ে সব সময় কথা বলে থাকি।

ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুম মিয়া বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম প্রায়ই উঠানামা করে। কিন্তু রোজার সময় দাম বাড়ানো ঠিক না। এ বিষয়ে ঢাকায় আমাদের সমিতির বোর্ড আছে তাদের সঙ্গে কথা বলছি। তারা বিষয়টি দেখছে।