তথ্য-উপাত্ত দিতে না পারলে অর্থ ফেরত দেবে না ফিলিপাইন
ফিলিপাইনে উদ্ধার হওয়া রিজার্ভের অর্থ ফিরে পেতে, প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত দিতে হবে বাংলাদেশকে। এ বিষয়ে ব্যর্থ হলে ফিলিপাইনের আইন অনুযায়ী এ অর্থের মালিক হবে দেশটির জনগণ।
ম্যানিলায় সিনেটের ষষ্ঠ শুনানিতে এমনটা জানিয়েছে, মুদ্রা পাচারবিরোধী সংস্থা এএমএলসি। এদিকে, আজ আরও ৪৩ লাখ ডলার ফেরত দিয়েছেন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী কিম অং।
সিনেটের ব্লুরিবন কমিটির শুনানির শুরুতেই উঠে আসে ফিলিপাইনের মুদ্রা পাচার আইন। ক্যাসিনো এ আইনের আওতায় না থাকায় সুপারিশ করা হয় তা সংস্কারের।
এরপর একে একে কমিটির জেরার মুখে পড়ে রিজাল কমার্সিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। কমিটির প্রধান সার্জিও ওসমেনার প্রশ্নবানে বেরিয়ে আসে, অর্থ পাচারে বড় গাফেলতি ছিল এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের। সন্দেহজনক লেনদেনের পরও কেন অর্থ ছাড় হলো, সদুত্তর দিতে পারেননি, জুপিটার শাখার শাখা ব্যবস্তাপক মায়া সান্তোস দেগুইতো। বড় অংকের এই লেনদেনের পেছনে কাস্টমার রিলেশনশিপের বিষয়টি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি।
আরসিবিসির শীর্ষ কর্তাদের বক্তব্যেও উঠে আসে অর্থ ছাড় নিয়ে মায়ার ছলচাতুরির বিষয়। প্রধান কার্যলয়ে সাসপিসাস ট্রানজিকশন অর্ডার পাঠিয়ে, উত্তর পাওয়ার আগেই চার অ্যাকাউন্টে টাকা ছাড় করেন মায়া।
শুনানিতে আরসিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরি হলেও তাদের সাথে কোন যোগযোগ করেনি ফেড কর্তৃপক্ষ। অর্থ পাচারের ঘটনায় ফেড দায় এড়াতে পারেনা বলে মত দেয় সিনেট।
চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে আরো ৪৩ লাখ মুদ্রা পাচারবিরোধী সংস্থা এএমএলসির কাছে জমা দিয়েছেন, ক্যাসিনো ব্যবসায়ী কিম অং। এ নিয়ে ক্যাসিনো থেকে ফেরত পাওয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় এক কোটি ডলার।
তবে রিজার্ভের উদ্ধার হওয়া অর্থ সহজেই ফেরত পাচ্ছে না বাংলাদেশ। এজন্য সরবরাহ করতে হবে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত। নইলে ফিলিপাইনের আইন অনুযায়ী, সে অর্থ দেশটির জনগণের সম্পদে পরিণত হবে।
এদিকে ব্যবসায়ী কিম অংয়ের বিরুদ্ধে করা এএমএলসির মামলার প্রাথমিক তদন্ত শুরুর তারিখ ৩ মে নির্ধারণ করেছে দেশটির বিচার বিভাগ।