সিরিয়া সম্মেলন: শরণার্থীদেরকে বিপুল সাহায্যের প্রতিশ্রুতি
যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার শরণার্থীদের জরুরি সাহায্যের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করতে লন্ডনে ভিন্ন ধরনের এক সম্মেলনে শ’শ’ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দাতারা।
শরণার্থীদের সাহায্যার্থে জার্মানি ও যুক্তরাজ্য যথাক্রমে দুইশ’ ৬০ কোটি ডলার এবং একশ’ ৭০ কোটি মার্কিন ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে ৯০ কোটি ৫০ লাখ ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি।
এ দাতা সম্মেলনের লক্ষ্য শরণার্থীদের জন্য নয়শ’ কোটি মার্কিন ডলার সাহায্য উত্তোলন করা।
সম্মেলনে ক্যামেরন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন উভয়ই সিরিয়ার শিশুদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেইসঙ্গে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সিরিয়ার প্রতিটি শিশুকে শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
৬০টি দেশের প্রতিনিধি ছাড়াও ৩০ জন বিশ্বনেতা এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।
যদিও জাতিসংঘের উদ্যোগে সিরিয়ার শান্তি আলোচনা বুধবার স্থগিত হয়ে যাওয়ায় দাতা সম্মেলনটি অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আয়োজিত শান্তি আলোচনায় রাজনৈতিকভাবে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ অবসানের পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছিল।
কিন্তু রুশ বাহিনীর সহযোগিতায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সবচেয়ে বড় সিরীয় শহর আলেপ্পোর উত্তরে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর হামলার পর আলোচনা তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ।
সিরিয়া সঙ্কট বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্তাফা দ্য মিসতুরা বলেন, “শুধু আলোচনার জন্য আলোচনা চাই না আমি, প্রথম দিন থেকেই এ ইঙ্গিত দিয়েছি।”
“সিরিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষগুলোর আন্তর্জাতিক সমর্থকদের, বিশেষভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার আশু সহায়তা প্রয়োজন।”
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতগলু বলেন, আলেপ্পোয় বোমা বর্ষণ শুরু হওয়ার পর প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ তুরস্কের পথে রওয়ানা হয়েছে।