যুদ্ধাহতের ভাষ্য– ৪৫: ‘রাজাকারগো যারা মন্ত্রী বানাইছে ওগো বিচারও করা উচিত’ -সালেক খোকন
‘‘২৫ মার্চ, ১৯৭১। মধ্যরাত। শুরু হয় ‘অপারেশন সার্চলাইট’। ঢাকার রাস্তায় নামে পাকিস্তান সেনা। রক্তাক্ত হয় রাজারবাগ পুলিশ লাইন, জগন্নাথ হল ও পিলখানা। এ খবর ছড়িয়ে পড়ে ঢাকার বাইরেও। ২৬ মার্চ রাতে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্টে চলে হত্যাযজ্ঞ। ঘুমন্ত বাঙালি সৈন্যদের ওপর আক্রমণ করে পাঠান-পাঞ্জাবি সেনারা। নিহত হন শত শত বাঙালি সৈন্য। অনেকে ব্যারাক থেকে কোনো রকমে পালিয়ে বাঁচেন। গোলাগুলির শব্দে আশপাশের গ্রামের মানুষ লাঠিসোটা নিয়ে জড়ো হয়। বাঙালি সৈন্যদের উদ্ধার করতে তারা ক্যান্টনমেন্টে আক্রমণ করে।’’
খবর পেয়ে পার্বতীপুর থেকে ওই রাতে আমিও চলে যাই সেখানে। আহত অবস্থায় বের করে আনি মাহাবুবসহ কয়েকজনকে। পাঞ্জাবি সেনারা আমাকে লক্ষ্য করেও গুলি চালায়। কিন্তু গুলিটি আমার পেটের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। ফলে সে যাত্রায় বেঁচে যাই।
আমরা আহতদের জড়ো করি খোলাহাটি ফকিরের বাজারে। মহসিন নামে একজন ডাক্তার থাকতেন ওখানে। তিনি আমার ও অনেকের শরীর থেকে গুলি বের করে আনেন। তাঁর চিকিৎসা না পেলে অনেককেই সেদিন বাঁচানো যেত না।’’
‘‘এরপর কী করলেন?’
‘‘গুলি খেয়েই সিদ্ধান্ত নিই, দেশে থাকব না। ২৭ মার্চ দুপুরের পর প্রস্তুতি নিই। বসন্তি সীমান্ত হয়ে চলে আসি ভারতের কাতলায়। আমার সঙ্গে ছিল বাঙালি আর্মি, মোজাহিদ ও ইপিআরের লোকেরা। সেখানে জর্জ ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হলে তিনি মুক্তিবাহিনীতে রিক্রুট করে নেন। প্রথমে শিববাড়ি ইয়ুথ ক্যাম্পে ছয়দিন চলে লেফট-রাইট। অতঃপর পাঠিয়ে দেওয়া হয় শিলিগুড়ির পানিঘাটায়। সেখানে ট্রেনিং করি ৩১ দিন। ১২ রকমের বিস্ফোরক তৈরির ট্রেনিং দেওয়া হয়। আমাদের উইংয়ে দোভাষী কমান্ডার ছিলেন বুলবুল। আমার এফএফ নং ছিল ২৯০৩।’’
‘‘‘পতাকা ছিল আমাদের কাছে কোরআনের মতো। তাই ট্রেনিংয়ের শুরুতেই পতাকা ছুঁয়ে শপথ করেছিলাম, জাতির প্রয়োজন ছাড়া ব্যক্তিগত কাজে এ ট্রেনিং ব্যবহার করব না। ’’
মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে কথার পিঠে কথা চলছিল যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ তোজাম্মেল হকের সঙ্গে।রফিউদ্দিন ও তোরাফুন নেছার পুত্র তোজাম্মেলের বাড়ি দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার সিংগিমারী কাজীপাড়া গ্রামে। বয়স সাতষট্টি। লেখাপড়ায়য় হাতেখড়ি সিংগিমারী কাজীপাড়া হাই স্কুলে। পড়েছেন ক্লাস এইট পর্যন্ত। পড়াশোনায় ইতি টেনে তোজাম্মেল ১৯৬৫ সালে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন পার্বতীপুরেই।
৭ মার্চ, ১৯৭১। বঙ্গবন্ধু ভাষণ দেন ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে। ঐতিহাসিক ওই ভাষণ তোজাম্মেল শোনেন রেডিওতে। ওই ভাষণই তাকে এলোমেলো করে দেয়। তিনি উজ্জীবিত হন স্বাধীনতা সংগ্রামে। তাঁর ভাষায়,
‘‘বঙ্গবন্ধু কইলেন, তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়েই শত্রুর মোকাবেলা কর… এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম..। বঙ্গবন্ধুর কথাডাই কইলজায় লাগি গেছে।’’
ট্রেনিং শেষে তোজাম্মেলরা হাতিয়ার পান আঙ্গিনাবাদ ক্যাম্প থেকে। অতঃপর চলে আসেন ৭নং সেক্টরের রনাঙ্গনে। যুদ্ধ করেন দিনাজপুরের আমবাড়ি, ফুলবাড়ি, পলাশবাড়ি, হিলি, মোহনপুরসহ অনেক জায়গায়। গেরিলা সেজে সম্মুখ অপারেশন করেন প্রায় এক মাস। একটি অপারেশনের কথা শুনি তাঁর জবানিতে।
‘‘প্রথম যুদ্ধ ফুলবাড়ির মাসুয়া পাড়ায়। সেখানে ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি শক্তিশালী ঘাঁটি। বসন্তির ছোট খাল পেরোলেই ক্যাম্পটি। ফজরের সময় খাল পেরিয়ে আমরা তাদের ক্যাম্পের পঞ্চাশ গজ সামনে চলে আসি।’’
‘‘অপারেশনের পূর্বেই আমাদের রেইকি করতে হত। ইপিআরের এক হাবিলদার অপারেশনটির ভুল রেইকি করেছিল। নিয়ম ছিল শত্রুর তিনশ গজ দূরে অবস্থান করার। কিন্তু আমরা তা না করায় বিপদের মধ্যে পড়ি।’’
‘‘কয়েকটি গ্রুপে আমরা ছিলাম চল্লিশ জন। কমান্ডার ছিলেন আফসার আলী। শুরু হয় গোলাগুলি। কয়েক মিনিট পর আমরা পিছু হটতে বাধ্য হই। শত্রুদের মর্টার আমাদের ওপর এসে পড়ছিল। খুব কাছে চলে আসাতে আমরা তেমন পেরে উঠি না। নিজেদের এ ভুলের কারণে ওই অপারেশনে শহীদ হন দুই সহযোদ্ধা। ইসমাইল ও আজিজুলের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকে চোখের সামনেই।’’
‘‘ক্যাম্পে ফিরেই আমরা বন্দুক তাক করি রেইকি ম্যানের দিকে। কিন্তু দলের কমান্ডার আমাদের শান্ত করান। ওইবার পিছু হটলেও কয়েকদিন পর আমরা আবার ওই ক্যাম্পে আক্রমণ করে উড়িয়ে দিয়েছিলাম। ওখানে ছিল তিনশ পাকিস্তান সেনা।’’
এরপ তোজাম্মেল জানান তাদের হিলি অপারেশনের ঘটনা:
‘‘হিলিতে পাকিস্তানি সেনাবহিনীর ঘাঁটিতে আক্রমণের সময়ও ছিল আমাদের তিনটি স্কোয়াড। সঙ্গে প্রায় তিনশ ভারতীয় ফৌজ। এসএস বার্ট ছিলেন কমান্ডে। রাতের অন্ধকারে আমরা পাকিস্তান আর্মিদের বাঙ্কারে গরম ও বিষাক্ত পানির নল রেখে আসি। পানি ছাড়তেই বাঙ্কার থেকে বেরিয়ে আসে সৈন্যরা। ওই সুযোগে আমরা তাদের গুলি করি। রক্তক্ষয়ী সে অপারেশনে বহু ভারতীয় সেন্য মারা যান। ওরা বুঝে উঠার আগেই বাঙালি গেরিলারা ওদের কুপোকাত করে ফেলে।’’
গেরিলাদের আক্রমণ কেমন হত?
মুক্তিযোদ্ধা তোজাম্মেলের উত্তর:
‘‘আমরা সাধারণ মানুষদের সঙ্গে আত্মগোপন করে থাকতাম। সুযোগ বুঝে আক্রমণ করেই সরে পড়তাম। ঝুঁকি ছিল বেশি। কিন্তু মনে ছিল অদম্য সাহস।’’
১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১। দেশ তখন স্বাধীন। কিন্তু স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগ তখনও থেমে থাকেনি। দিনাজপুরে মিলিশিয়া ক্যাম্পে ঘটে এক মর্মস্পর্শী ঘটনা। কী ঘটেছিল ওইদিন? এমন প্রশ্নে আনমনা হয়ে যান মুক্তিযোদ্ধা তোজাম্মেল হক। খানিক নিরব থেকে তিনি বলতে শুরু করেন:
‘‘দেশ তখন স্বাধীন। দিনাজপুর মহারাজা গিরিজানাথ হাই স্কুলে খোলা হয় একটি মিলিশিয়া ক্যাম্প। ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন শাহরিয়ার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জর্জ আর এন দাশ (জর্জ ভাই)। সেখানে অস্ত্র জমা নেওয়া হত। গ্রামে রাজাকারদের কিছু অস্ত্র উদ্ধার করি আমরা।’’
‘‘৫ জানুয়ারি, ১৯৭২। সকাল সকাল ওই অস্ত্র জমা দিতে আসি মহারাজা স্কুলে। সঙ্গে ছিলেন অনীল ও আক্কাস। অস্ত্র জমা দিয়ে ওই দিন ক্যাম্পেই থেকে যাই আমরা।’’
‘‘ক্যাম্পটির ভেতর অনেক মুক্তিযোদ্ধা। বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়েছিল অ্যান্টি-ট্যাংক, অ্যান্টি-পারসোনাল মাইন, টুইঞ্চ মর্টার, থ্রি ইঞ্চ মর্টার প্রভৃতি। শুধু অ্যান্টি-ট্যাংক মাইনই ছিল সাড়ে বারশ’র মতো।
৬ জানুয়ারি, ১৯৭২। বিকেল বেলা। আমরা যাব বাংলা সিনেমা দেখতে। তেমনটাই ছিল পরিকল্পনা। তখন ক্যাম্প থেকে বেরুতে টোকেন নিতে হত। টোকেনের আবেদন করে আমরা রুমে ফিরে আসি। হঠাৎ বাঁশির শব্দ। রিপোর্ট করতে হবে। আমরা দ্রুত মাঠের মধ্যে এসে সোজা হয়ে দাঁড়াই। একেক জন দাঁড়িয়ে এক, দুই, তিন বলে নিজের অবস্থান জানান দেই।’’
‘‘মাঠের মধ্যে আনলোড হচ্ছিল একটি ট্রাক। সেটি এসেছিল হিলি থেকে। ট্রাকভর্তি বিভিন্ন ধরনের মাইন। হঠাৎ বিকট শব্দ। চকাত চকাত কয়েকটা আলোর ঝলকানি দেখি। এরপর আর কিছু মনে নাই। আট দিন পর জ্ঞান ফিরতেই দেখি মিশন হাসপাতালে। আমার ডান পা কাটা। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় স্প্লিন্টারের ক্ষত।’’
‘‘মহারাজা স্কুলের মিলিশিয়া ক্যাম্পে কীভাবে ওই বিস্ফোরণ ঘটেছিল তা আজও অজানা। বিস্ফোরণে স্কুল বিল্ডিংটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। নিচ থেকে পানি উঠে ওই জায়গাটি পুকুরে পরিণত হয়। আশপাশের বাড়িগুলোতেও ফাটল দেখা দেয়। শহীদ হন প্রায় আটশ মুক্তিযোদ্ধা।’’
‘‘বিস্ফোরণের পর আমার রক্তাক্ত দেহটি ঝুলে ছিল গাছে। লোকজন সেখান থেকে নামিয়ে আমাকে পাঠিয়ে দেয় হাসপাতালে। এটি নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা ছিল, সেটি আজও কেউ জানে না। হাসপাতালে আমাদের দেখতে আসেন কামরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন শাহরিয়ারসহ অনেকেই। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আমাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ঢাকাতে।’’
এ প্রসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা তোজাম্মেল আক্ষেপের সুরে বলেন:
‘‘মহারাজা গিরিজানাথ হাই স্কুলের শহীদদের তালিকা আজও সরকারিভাবে পূর্ণাঙ্গ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। দুইশ চল্লিশ জনের নাম লিপিবদ্ধ থাকলেও বাকিরা রয়েছেন অজ্ঞাত। এর চেয়ে দুঃখের আর কী আছে!’’
কথা উঠে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রসঙ্গে। এ বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন:কি
‘‘প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা লাগে না। ১৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধা নেন হায়ার ট্রেনিং। ইয়ুথ ক্যাম্পে ছিলেন ১ লাখের মতো। বারা দেশের ভেতর কয়েকটি ছোট দলে যুদ্ধ করেন। স্বাধীনের পর শুনি সব নাকি করেছে মুজিববাহিনী। মুক্তিযুদ্ধের সময় তো তাদের চোখে দেখিনি।’’
স্বাধীনতার পর মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে বিভক্ত হওয়ার বিষয়টি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন তিনি। তাঁর ভাষায়:
‘‘দেশের জন্য আমরা যুদ্ধ করেছি। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীরাই মুক্তিযোদ্ধাদের শক্র। এই দেশ আমাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। কিন্তু আমরা যদি আজ স্বার্থটাই ত্যাগ করতে না পারি, তাহলে তো মুক্তিযোদ্ধা শব্দটা একটা গালিতে রূপ নিবে।’’
বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা প্রসঙ্গে উদাহরণ টেনে তোজাম্মেল বলেন:
‘‘আমাদের গ্রামে এক রাজাকার ছিল। সে ছিল খুবই গরিব। পেটের দায়ে রাজাকার বাহিনীতে নাম লিখিয়েছিল। কিন্তু কোনো হত্যার কাজে যুক্ত ছিল না। এমন লোককে তো ক্ষমা করাই উচিত। কিন্তু চিহ্নিত রাজাকারদের তো বঙ্গবন্ধু ক্ষমা করেননি।’’
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে কথা উঠতেই তিনি অকপটে বলেন:
‘‘স্বাধীনতার পর অনেকেই টাকার বিনিময়ে ও আত্মীয়তার অজুহাতে রক্ষা করেছেন বহু রাজাকারকে। রাজাকারদের বিচার নিয়ে হয়েছে নানা রাজনীতি। ক্ষমতায় মুক্তিযুদ্ধের সরকার থাকলে বহু আগেই এদের বিচার হত। তবে রাজাকারগো রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে জিয়াউর রহমান ওদের নতুন জীবন দিয়েছিল। আমাদের আত্মত্যাগের ইতিহাসও করেছে কলঙ্কিত। রাজাকারগো যারা মন্ত্রী বানাইছে ওগো বিচারও করা উচিত।’’
মুচকি হেসে তোজাম্মেল বলেন:
‘‘এখন যদি আরেকটি য্দ্ধু লাগে তাহলে কেউ হয়তো যুদ্ধেও যাবে না। কেননা সবাই দেখেছে স্বাধীনের পর এদেশে কোনো কোনো মুক্তিযোদ্ধা ভিক্ষাও করেছে। অথচ রাজাকাররা হয়েছে সম্মানিত। ইতিহাসের এই দায় কে নিবে?’’
স্বাধীন দেশে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভালোলাগার অনুভূতি জানতে চাই আমরা। উত্তরে মুক্তিযোদ্ধা তোজাম্মেল অকপটে বলেন:
‘‘এক সময় এ দেশ ছিল তলাবিহীন ঝুড়ি। এখন আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছি। আমার দেশের প্রধান মন্ত্রী, শেখের মাইয়া এখন বিশ্ব ব্যাংকেও পরোয়া করে না, জাতিসংঘের কাছেও মাথা নোয়ায় না– এটা ভাবলেই গর্ব হয়, ভালো লাগে।’’
খারাপ লাগে কখন?
‘‘রাজনীতির নামে মানুষ হত্যা চলছেই। স্বাধীন বাংলাদেশে থেকে এখনও অনেকে দেশটাকে পাকিস্তান বানাতে চায়। এসব দেখলে কষ্ট লাগে।’’
তবে হতাশার মাঝেও নতুনদের মাঝে আলো দেখতে পান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা তোজাম্মেল হক। তাঁর ভাষায়:
‘‘নতুরা সত্যিটাকে ঠিকই খুঁজে নিবে। সত্য পথে চলবে। তখন দেশ হবে আরও উন্নত ও আলোকিত।’’
সংক্ষিপ্ত তথ্য
নাম: যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ তোজাম্মেল হক।
ট্রেনিং নেন: ৩১ দিন ট্রেনিং নেন ভারতের শিলিগুড়ির পানিঘাটায়। এফএফ নং: ২৯০৩।
যুদ্ধ করেছেন: ৭ নং সেক্টরে। দিনাজপুরের আমবাড়ি, ফুলবাড়ি, পলাশবাড়ি, হিলি, মোহনপুরসহ অনেক জায়গায়।
যুদ্ধাহত হন: ১৯৭২ সালের ৬ জানুয়ারি। দিনাজপুরে মহারাজা গিরিজানাথ হাই স্কুলে মুক্তিযোদ্ধাদের মিলিশিয়া ক্যাম্পের বিস্ফোরণে উড়ে যায় তাঁর ডান পাটি।