সিনহা হত্যা: ফের ৪ দিনের রিমান্ড পুলিশের করা মামলার সেই তিন সাক্ষীর
মেরিন ড্রাইভের কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীকে আবারও ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) দুপুরের পর কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। র্যাবের একটি দল টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকা থেকে গত ৯ আগস্ট পুলিশের দায়ের মামলার এ সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনে ঘটনায় সম্পৃক্ততা পাওয়ার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করেছিল।
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, টেকনাফের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়ার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন ও মোহাম্মদ আইয়াস। এর আগে গত ১২ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডের জন্য ১৪ আগস্ট তাদের র্যাবের হেফাজতে নিয়ে ২০ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু মামলার তদন্তের স্বার্থে আরও তথ্য জানতে তাদের ফের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। সেই মূলে তাদের ৪দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের এএসপি খাইরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খাইরুল ইসলাম বলেন, সিনহা মামলার আসামিদের মধ্যে এই তিনজন সাধারণ পাবলিক। এর আগে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলাম। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পেয়েছি। কিন্তু, অন্যান্য আসামিদের দেওয়া তথ্যের সাথে আজকের রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিদের তথ্য মিলিয়ে দেখার জন্য মূলত রিমান্ড নেয়া। যাতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয় এবং নিরীহ লোক যাতে কষ্ট না পায়। আমাদের সবার প্রত্যাশা সত্যটা প্রতিষ্ঠিত হউক, দোষীরা সাজা পাক।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত। ওই ঘটনায় ওসি প্রদীপসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা এবং পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী প্রথমে কক্সবাজার জেলা কারাগার ও পরে আদালতের ৭ দিনের রিমান্ড আদেশের প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করেছে র্যাব। পরে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আদালতের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মত ৪দিন করে রিমান্ড নেওয়া হয়। সর্বশেষ পুলিশের দায়ের করা মামলা এই তিন সাক্ষীকে দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহর আদালত।