রেমিট্যান্স পাঠানোর সব বাধা দূর করা হবে :অর্থমন্ত্রী

o

করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও শুধু জুলাই মাসে ২৬০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি। একক মাস হিসেবে এত রেমিট্যান্স আর আসেনি দেশে। এর আগে মাস ভিত্তিতে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে গত জুন মাসে। গত জুন মাসে প্রবাসীরা ১৮৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান দেশে। সব মিলিয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা দেশে ১ হাজার ৮২০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান দেশে। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১১ শতাংশ বেশি। আর গত জুলাই সেই রেকর্ড ভেঙে ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসল।

রেমিট্যান্সে দেশের এ অনন্য রেকর্ডে প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় গত অর্থবছরের শুরু থেকে প্রবাসীদের প্রেরিত আয়ের ওপর ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা প্রদান অব্যাহত আছে। যার ফলে গতবছর ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। চলতি অর্থবছরে তিন-পাঁচ বিলিয়ন ডলার বাড়তি অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। সামনের দিনে রেমিট্যান্স বৈধ পথে আনতে যত কৌশল অবলম্বন করতে হয় সেটা আমরা নেব। প্রবাসীদের রয়েছে দেশের প্রতি অকৃতিম ভালোবাসা আর মমত্ববোধ। তাদের টাকা প্রেরণে যত বাধা রয়েছে সেগুলো দূর করা হবে। উল্লেখ্য, চিকিত্সা ফলোআপ শেষে ২ আগস্ট লন্ডন হতে দেশে ফিরেন অর্থমন্ত্রী। ৩ আগস্ট সোমবার নিজ কার্যালয়ে রেমিট্যান্স বিষয়ে এ মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।

অর্থ মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, করোনার মধ্যে প্রতিকূল পরিবেশে থেকেও নিয়মিত রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। কঠিন সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করেছে। অর্থনীতির চাকাকে বেগবান রাখতে বড় অবদান রাখছে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এযাবত্কালের মধ্যে সবোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৭ দশমিক ২৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ৩০ জুন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৬ দশমিক ০১৬ বিলিয়ন ডলার। তখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে যেটি ছিল সর্বোচ্চ। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে সেটি পৌঁছেছে ৩৭ দশমিক ২৮৭ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ডে।