ঈদযাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ব্যবস্থা :কাদের

r

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন ও সর্বোচ্চ সচেতনতা প্রদর্শন না করলে ঈদযাত্রা অন্তিম যাত্রায় রূপ নিতে পারে বলে যাত্রীদের সতর্ক করে দিয়েছেন। গতকাল সোমবার সকালে আসন্ন ঈদুল আজহায় মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে বিআরটিএ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় নিজ বাসভবন থেকে তিনি ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা মহানগরীর প্রতিটি টার্মিনালে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ, মালিক-শ্রমিক, সিটি করপোরেশন, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনকে নিয়ে গঠিত টাস্কফোর্স কার্যকর থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনসহ যে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণে সক্রিয় থাকবে বিআরটিএর মোবাইল কোর্ট। ভ্রমণের আগে ও পরে পরিবহনসমূহ জীবাণুমুক্ত করার পাশাপাশি বাসে ওঠার ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যাত্রী, গাড়িচালক, চালকের সহকারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান করার পাশাপাশি পরিবহনসমূহ জ্বালানি সংগ্রহ ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া পথে যাত্রাবিরতি করতে পারবে না বলে সভায় জানানো হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে মহাসড়কসমূহ যে কোনো সময়ের তুলনায় এখন ভালো অবস্থায় রয়েছে। অতিবৃষ্টিজনিত ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতে ভ্রাম্যমাণ সড়ক মেরামত টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখার জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে এবং যাত্রীদের চাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মোহনায় প্রয়োজনীয়সংখ্যক বাস প্রস্তুত রাখার জন্য বিআরটিসিকে মন্ত্রী নির্দেশনা দেন।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জানানো হয়, ঈদুল আজহায় দূরপাল্লার বাস-মিনিবাসসমূহ অর্ধেক আসন খালি রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করবে। ঢাকা মহানগরীর বহির্গমন পয়েন্টসমূহ যানজটমুক্ত রাখতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নগরীর প্রধান প্রধান টার্মিনালসমূহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবে।

সভায় বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কাজী শাহিরয়ার হোসেন, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান, বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. এহছানে এলাহী, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, হাইওয়ে পুলিশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠন, বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।