নিম্ন মধ্যবিত্তদের সাহায্যে এমপি নিক্সন চৌধুরীর হট লাইন চালু

r

ফরিদপুর-৪ আসনের জনপ্রিয় এমপি মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য হট লাইন চালু করায় এলাকায় স্বস্তি বিরাজ করছে। করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমানে সবকিছু লকডাউন। একইসাথে আয় রোজগারও বন্ধ হওয়ার উপক্রম। যে কারণে নিম্ন মধ্যবিত্তরা না পারছে হাত পেতে কিছু নিতে, না পারছে সংসারের বোঝা বইতে। এসব নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য এমপি নিক্সন চৌধুরী হট লাইন চালু করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিম্ন মধ্যবিত্ত একটি পরিবার জানায়, ভাগ্যগুণে এমন একটি এমপি আমরা পেয়েছি। যিনি মাসব্যাপী অসহায় গরীবদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছেন। এখন মধ্যবিত্তদের কথা চিন্তা করে আমাদের মাঝেও উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছেন। আল্লাহ এমপি নিক্সন চৌধুরীকে আরো বড় করুন। একই সাথে জনসেবার মনোভাব তার যেন চিরকাল থাকে।

এ ব্যাপারে এমপি নিক্সন চৌধুরীর সমর্থক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান জানান, করোনা ভাইরাস শুরুর প্রথম থেকেই আমাদের নেতা ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন থানার সকল জনগণের খোঁজ-খবর নিতেছেন। তিনি শুরুতেই জনগণকে সাহস যুগিয়ে বলেছেন, ‘ভয় নেই যতক্ষণ বেঁচে থাকব ততক্ষণ আপনাদের পাশেই থাকব’। সেই থেকে অদ্যবদি এমপি নিক্সন চৌধুরী দিনরাত পরিশ্রম করে তিন উপজেলার অসহায় হত দরিদ্রদের নিয়মিত ত্রাণ বিতরণসহ নগদ টাকা প্রদান করে আসছেন। এখন আমাদের নেতা নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য একটি হট লাইন চালু করেছেন। সেখানে যারা হাত পেতে নিতে লজ্জা পায় তারা শুধু ফোন করলেই আমাদের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন সামগ্রী তাদের ঘরে পৌঁছে দিবেন।

হট লাইনের প্রতিনিধি ভাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী প্রফেসর হেদায়েতউল্লাহ জানায়, আজ মঙ্গলবার প্রথম দিনে আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। আমরা সারাদিনে ৪৭টি পরিবারের কাছে খাদ্য ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। এসব সামগ্রী পেয়ে তারা বেশ খুশি।

বিষয়টি নিয়ে ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি মুজিবুর রহমান চৌধুরীর সাথে স্থানীয় সংবাদিকরা যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমাকে ২০১৪ সালে প্রথমবার বিপুল ভোটের ব্যবধানে ফরিদপুর-৪ আসনের মানুষ এমপি বানিয়েছিলো। ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বারেও বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমাকে তারা পুনরায় এমপি বানিয়েছেন। অনেক বড় আশা নিয়ে জনগণ আমাকে তাদের নেতা বানিয়েছে। শুরু থেকেই আমি জনগণের পাশে ছিলাম। যতদিন বেঁচে থাকব আমি জনগণের পাশেই থাকব। আমি একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার যৌবনের মূল সময়টা আমি জনগণের জন্য কাজ করতে পেরেছি। এখন করোনা মহামারিতে আমার জনগণ কষ্টে থাকবে এটা আমি বেঁচে থাকতে হতে দিবো না ইনশাল্লাহ। একই সাথে আমি সকল সাংসদদের কাছে আকুল আবেদন জানবো এই করোনা ভাইরাসের সময় জনগণকে সচেতন করে তাদের পাশে সুখ-দু:খের সাথী হয়ে থাকতে।’