করোনা নিয়ে সরকারের অবহেলা মেনে নেওয়া যায় না: মান্না
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলা করার জন্য প্রায় দুই মাস সময় পাওয়া গেলেও সরকার মুজিববর্ষ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সেদিকে নজর দিতে পারেনি। সরকারের এই অবহেলা মেনে নেওয়া যায় না। সরকারের যাবতীয় ব্যর্থতার মাশুল কিন্তু দিতে হবে আমাদেরই। একটা বড় ধরনের বিপদ আমাদের সামনে রয়েছে। এ জন্য সবাই মিলে কাজ করা উচিত। এ সময় তিনি করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় দ্রুত টাস্কফোর্স গঠনসহ ২০ দফা দাবি জানিয়েছেন।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বলেন।
ধনী ও সামর্থ্যবানদের উদ্দেশে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, জাতি আজ বড় বিপদে। করোনার সমস্যা মোকাবিলা করাটা অনেক বড় অর্থনৈতিক সামর্থ্যের ব্যাপার। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে দেশে সামর্থ্যবান এবং ধনী মানুষের উচিত হবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
সুপারিশগুলোর মধ্যে আছে- সরকারের সমন্বয়হীনতা দূর করতে সব সেক্টরের মানুষকে নিয়ে দ্রুত টাস্কফোর্স গঠন, বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইনে বাধ্য করা এবং প্রয়োজনে প্রত্যেক বিদেশফেরতের হাতে অমোচনীয় কালির সিল দেওয়া, করোনাভাইরাসের মহামারির ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করে তোলার কর্মসূচি গ্রহণ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ আসন্ন উপনির্বাচনগুলো স্থগিত করা, ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক সমাবেশ বন্ধ রাখার নির্দেশ শক্তভাবে প্রয়োগ করা, আদালতগুলো বন্ধ করা, বস্তিবাসীদের করোনা নিয়ে সচেতন করতে আলাদা টিম গঠন এবং সন্দেহভাজনদের পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খুব দ্রুত স্বতন্ত্র হাসপাতাল তৈরি করে তাদের পরীক্ষা করা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট দ্রুত বাণিজ্যিক উৎপাদন এবং তা মানুষের জন্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা, সারাদেশে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মীর জন্য পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট অতি দ্রুত সরবরাহ করা হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ করোনাসংশ্নিষ্ট প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সব ওষুধের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা, কোনো এলাকা লকডাউন করতে হলে সেখানকার প্রান্তিক মানুষের খাবারের দায়িত্ব সরকারকে গ্রহণ করা, গার্মেন্ট শিল্প রক্ষায় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রভৃতি। গণপরিবহন ও টাকাকে জীবাণুমুক্ত করার বিষয়েও সরকারকে নজর দেওয়ার সুপারিশও করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল্লাহ কায়সার, মমিনুল ইসলাম, আতিকুর রহমান, ড. জাহিদ-উর রহমান এবং সাবেক কূটনীতিক সাকিব আলী উপস্থিত ছিলেন।