ক্রিকেটে মনোযোগী হতে পরামর্শ পাপনের

pm

বঙ্গবন্ধু বিপিএল শেষ হয়েছে দুই দিন হলো। পাকিস্তান সফর দরজায় কড়া নাড়ছে। সফরের জন্য বাংলাদেশ দলের অনুশীলন শুরু হয়েছে গতকাল। জাতীয় দলের অনুশীলনে হাজির হয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। কথা বলেছেন ক্রিকেটার, কোচদের সঙ্গে। ঘুরে ঘুরে দেখেছেন ক্রিকেটারদের নেট সেশন।

নিরাপত্তা ঝুঁকির ভয়ে মুশফিকুর রহিম এই সফরে যাচ্ছেন না। সৌম্য সরকার, মুস্তাফিজুর রহমানদের সাহস, মনোবল যোগাতে চেষ্টা করছেন বোর্ড সভাপতি। পাকিস্তানে দলের সঙ্গে থাকবেন তিনি। পাকিস্তানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাই পাবে বাংলাদেশ দল। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা ক্রিকেটারদের আগেই পাকিস্তানে পৌঁছে যাবেন। গতকাল বিসিবি সভাপতি ক্রিকেটারদের বলেছেন, নিরাপত্তার ভয় বাদ দিয়ে ২২ গজের লড়াইয়ে মনোনিবেশ করতে। দলের সবাইকে ক্রিকেটে মনোযোগী হতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

মিরপুর স্টেডিয়ামে গতকাল সংবাদমাধ্যমকে নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা মনে করছি এটা একটি নিরাপদ জায়গা এবং আমরা খেলতে যেতে পারি সেখানে। মাথায় এখন সেই নিরাপত্তার ব্যাপারটি বাদ দিয়ে খেলায় মনোনিবেশ করা উচিত। সেটাই ওদেরকে বলতে এসেছিলাম।’

বাংলাদেশ দলের আগেই গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা পাকিস্তানে চলে যাবেন। নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বিসিবি। গতকাল এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেছেন, ‘ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্স মানে দেশের সর্বোচ্চ যারা আছে এনএসআই, ডিজিএফআই, আমি যতটুকু জানি যে ওখান থেকে তাদের প্রতিনিধি আগেই চলে যাবে আমাদের দল যাওয়ার আগে। আবার একজন আমাদের দলের সঙ্গে থাকবে। দুই সংস্থা থেকেই লোক থাকবে, এমনটাই আমাদের জানা আছে। এমনটাই পরিকল্পনা আছে এবং সেটাই কথাবার্তা হয়েছে। আর আমাদের বিসিবি তো থাকবেই। তাই আমাদের তরফ থেকে যা করার আমরা করছি। ওদের (পাকিস্তান) নিরাপত্তা প্ল্যানটি দেখেছি। এরচেয়ে বেশি আসলে কিছু করার নেই।’

তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ পরিচালনা করবে আইসিসির অফিসিয়ালরা। ম্যাচ রেফারি, আম্পায়ার পাঠাবে আইসিসি। সংস্থাটির অনুমোদন পেয়েই সফরে যেতে সম্মতি দিয়েছে বিসিবি। গতকাল নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘আইসিসি তো দল পাঠাচ্ছেই। ওরা এরই মধ্যে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করেছে এবং ওদের সব লোকজন থাকবে। ওরা বলাতেই তো আসলে যাচ্ছি। সবদিক থেকে যেভাবে সিদ্ধান্তটি এসেছে, এরপর ওখানে না যাওয়াটা কঠিন। এরপরও ওখানে যদি এমন কোনো ঘটনা আল্লাহ না করুক ঘটে বা তেমন অবস্থা হয় তাহলে তো আর আমরা যাব না। আমাদের যদি কখনো মনে হয় যে ওখানটায় যেমনটা ভেবেছিলাম বা পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে তাহলে আমাদের সিদ্ধান্তও পরিবর্তন হবে।’

ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করে নিষিদ্ধ হওয়া সাকিব আল হাসান নেই। মুশফিকও যাচ্ছেন না পাকিস্তান। তারপরও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে ভালো কিছু আশা করছেন বোর্ড সভাপতি। গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সাকিব-মুশফিক দুই জনই নেই। যারা ফর্মে আছে তারা যদি না থাকে সেটাতো আমাদের জন্য একটা দুর্ভাগ্য। এরপরও আমার ধারণা এটা একটা ভালো সিরিজ হবে। ওরাও আশা করছে খুব ভালো সিরিজ হবে, আমরাও আশা করছি। জেতা উচিত বাংলাদেশের। মানে এটি একটি ভালো সিরিজ হবে।