চাহারের তোপে হারলো বাংলাদেশ

4bc2a01a9ba6a73ffa7da6ec6c645af8-5dc847873a084

মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাটে উঁকি দিতে শুরু করেছিল ভারতের মাটিতে ঐতিহাসিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা। কিন্তু দীপক চাহারের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ইতিহাস গড়া হলো না বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টির সেরা বোলিংয়ের পাশাপাশি হ্যাটট্রিক করে সফরকারীদের ৩০ রানে হারালো ভারত, তিন ম্যাচের সিরিজ জিতলো ২-১ ব্যবধানে।

নাগপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শ্রেয়াস আইয়ার ও লোকেশ রাহুলের ঝড়ো ফিফটিতে ভারত করে ৫ উইকেটে ১৭৪ রান। জবাবে ১৯.২ ওভারে ১৪৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সেরা বোলিং ফিগার গড়েন চাহার। ৩.২ ওভারে ৭ রান দিয়ে ৬ উইকেট। ২০১২ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অজন্তা মেন্ডিস ৪ ওভারে ৮ রান দিয়ে নেন ৬ উইকেট। শুধু তাই নয়, ভারতের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম হ্যাটট্রিক করেছেন এই ডানহাতি পেসার।

১৭৫ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল বাংলাদেশের। মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গে লিটন দাস প্রথম ২ ওভারে ১১ রান তোলেন। কিন্তু তৃতীয় ওভারে চাহার পরপর দুটি উইকেট নিয়ে ছোটখাটো ধস নামান। ২ চারে ৯ রান করা লিটনকে তিনি ওয়াশিংটন সুন্দরের চমৎকার ক্যাচ বানান। নেমে প্রথম বলে শিবম দুবেকে ক্যাচ দেন সৌম্য সরকার।

১২ রানে ২ উইকেট হারানোর ধাক্কা বাংলাদেশ কাটিয়ে উঠছিল মোহাম্মদ নাঈম ও মোহাম্মদ মিঠুনের জুটিতে। ৩৪ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি করে সফরকারীদের দারুণ আশা জাগান নাঈম। মোসাদ্দেক হোসেনের বদলে জায়গা পাওয়া মিঠুনের সঙ্গে তার জুটিতে জয় উঁকি দিচ্ছিল বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু ৯৮ রানের এই জুটি ভেঙে দেন চাহার। ২৯ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ২৭ রানে লোকেশের ক্যাচ হন মিঠুন।

পরের ওভারের প্রথম বলে শিবম দুবে তার প্রথম টি-টোয়েন্টি উইকেট পান মুশফিকুর রহিমকে বোল্ড করে। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। তবুও ৩৪ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে প্রথম ফিফটি করা নাঈমের ব্যাটে আশা বেঁচে ছিল সফরকারীদের। কিন্তু তার বিদায়ে পথ হারায় তারা। দুবে তার শেষ ওভারের তৃতীয় বলে বোল্ড করেন বাঁহাতি এই ওপেনারকে। ৪৮ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে ৮১ রান করেন নাঈম। পরের বলে দুবে ফিরতি ক্যাচে ফেরান আফিফ হোসেনকে।

এই দুটি উইকেট হারানোর পর মাহমুদউল্লাহ ভরসা হয়ে ছিলেন। কিন্তু পরের ওভারে যুজবেন্দ্র চাহালের কাছে বোল্ড হন অধিনায়ক। ১০ বলে ৮ রান করে ভারতীয় লেগস্পিনারের ৫০তম টি-টোয়েন্টি উইকেটে পরিণত হন মাহমুদউল্লাহ।

এরপর আবার চাহার ঝলক, নিজের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে শফিউল ইসলামকে (৪) লোকেশের ক্যাচ বানান তিনি। ইনিংসের ও নিজের শেষ ওভারের প্রথম বলে মোস্তাফিজুর রহমানকে (১) নিজের পঞ্চম শিকার বানান চাহার। আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে (৯) পরের বলে আউট করে হ্যাটট্রিক ও টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সেরা বোলিং করেন ২৭ বছর বয়সী এই পেসার। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।