স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বাড়ছে

023230Budget_kalerkantho_pic

সন্ত্রাস দমন, গোয়েন্দা কার্যক্রম শক্তিশালী করতে এবারের বাজেটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আগের বছরের চেয়ে ১৪৩৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত বছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের (জননিরাপত্তা ও সুরক্ষা সেবা) বরাদ্দ ছিল ২৩২৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এবার দুই বিভাগের জন্য বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ৩৭৬০ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে জননিরাপত্তা বিভাগের জন্য ১২৫৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা এবং সুরক্ষা সেবা বিভাগের জন্য ১২৫১ কোটি ২৮ লাখ টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অধীন রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ অধিদপ্তর, বার্ডার গার্ড বাংলাদেশ, কোস্ট গার্ড, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। এ ছাড়া সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে আছে কারা অধিদপ্তর, বেসামরিক প্রতিরক্ষা ও অগ্নিনির্বাপণ অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর।

অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তব্যে বলেছেন, “দেশে স্বাভাবিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার কাজটি দক্ষতার সঙ্গে করার লক্ষ্যে আমরা পূর্বতন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ‘জননিরাপত্তা বিভাগ’ ও ‘সুরক্ষা সেবা বিভাগ’ নামে দুটি বিভাগে বিভক্ত করেছি। প্রয়োজনীয় জনবল বিশেষায়িত সরঞ্জাম ও যানবাহন সরবরাহের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে, যা তাদের দক্ষতা ও পেশাদারি বাড়াতে সহায়তা করবে। তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমকে জনমুখী করা হচ্ছে।”

এবারের বাজেটে পিবিআইয়ের কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং তদন্ত সহায়তার জন্য যন্ত্রপাতি কেনা হবে। আধুনিকীকরণ করা হবে পুলিশ হাসপাতালগুলো। ১৯টি নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ও ব্যারাক নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। এ ছাড়া ‘স্ট্রেংদেনিং দি অপারেশনাল এফিশিয়েন্সি অব ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ’ প্রকল্পের কাজও শুরু করা হবে।

১৯ জেলা/ইউনিটে অস্ত্র-গোলাবারুদ মজুদাগারসহ অস্ত্রাগার, পাঁচটি র্যাব কমপ্লেক্স এবং একটি র্যাব ট্রেনিং স্কুল কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। তৈরি করা হবে বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানায় অফিসার ও সদস্যদের জন্য বাসভবন। বিজিবির সীমান্ত এলাকায় ৬০টি বিওপি নির্মাণ করা হবে। তৈরি করা হবে আনসার-ভিডিপি ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তর কমপ্লেক্স। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের তিনটি স্টেশনে প্রশাসনিক ভবন ও নাবিকনিবাস নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।

এ ছাড়া পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ইতিহাস, ঐতিহাসিক ভবন সংরক্ষণ ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। বিভাগীয় শহরে কারা উপমহাপরিদর্শকের অফিস ভবন ও স্টাফ কোয়ার্টার, ১৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ২৬টি দপ্তর ও আবাসিক ভবন নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হবে।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সাতটি আধুনিক ফায়ার স্টেশন স্থাপন করা হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৪১টি জেলা অফিস ভবন নির্মাণ করা হবে। রংপুর, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক অফিস ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। নির্মাণ করা হবে সাতটি বিভাগীয় শহরে ৫০ শয্যার মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র।