ভারতের আগ্রহ সমুদ্রবন্দরে
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই আগ্রহের কথা জানান বাংলাদেশ সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব। প্রধানমন্ত্রী তাকে ‘কনসোর্টিয়ামের’ মাধ্যমে বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কথা বলেন।
কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া ও পটুয়াখালীর পায়রায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে অগ্রাধিকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।
সোনাদিয়া ও পায়রায় গভীর সমুদ্রবন্দরে নির্মাণ প্রকল্পে অর্থায়নে চীন, জাপান, আমিরাত ও নেদারল্যান্ডসের আগ্রহের কথা এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সাক্ষাতের পর তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান।
ইহসানুল করিম বলেন, “জয়শংকর বলেছেন, বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে ভারতীয় কোম্পানিগুলো আগ্রহী।
“কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রী এসময় উল্লেখ করেন।”
দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে দুদেশের সম্পর্ক এখন বিশ্বে মডেল উল্লেখ করে জে জয়শংকর বলেন, এই সম্পর্ক ভারতে প্রশংসিত হচ্ছে।
সার্ক কৃত্রিম উপগ্রহে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে নিজ সরকারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।
ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে বিদ্যুৎ পাঠানোর বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ-ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তিকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
ভারতের সংসদে গত বছরের ৭ মে সব দলের সম্মতিতে স্থলসীমান্ত চুক্তি পাস হয়।
সাক্ষাৎকালে গত বছরের জুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানান ইহসানুল করিম।
বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফর প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, নরেন্দ্র মোদীর ওই সফর দুদেশের সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
নরেন্দ্র মোদীর সফরের সময়ে যে ১৪টি প্রকল্পের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, তার আটটি বাস্তবায়ন হয়েছে বলে উল্লেখ করেন জয়শংকর।
প্রায় এক বছরের এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পথে অনেক অগ্রগতি হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অনেক বেশি ভালো বলে বৈঠকে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় ভারতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রীংলা এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সুপ্রিয়া রঙ্গনাথন উপস্থিত ছিলেন।