অর্থনীতি বাংলাদেশ এখন বড় কিছু করতে সক্ষম: প্রধানমন্ত্রী
পদ্মা সেতুর কারণে অন্য উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অর্থনীতির অগ্রগতির ধারায় বাংলাদেশ এখন বড় প্রকল্প হাতে নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য ফজলুল রহমান এক সম্পূরক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, পদ্মা সেতুর জন্য দেশের অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্প বাধাগ্রস্ত হবে কি না?
বিশ্ব ব্যাংককে ‘না’ করে দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে ২৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের সবচেয়ে বড় নির্মাণ প্রকল্প পদ্মা সেতু তৈরি করছে সরকার।
সংসদ সদস্যের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে দেশে চলমান অন্য প্রকল্পের অর্থায়নে কোনো সমস্যা হবে না। এ পর্যন্ত যত প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর সবগুলোই যথাসময়ে বাস্তবায়ন হয়েছে এবং হচ্ছে।”
নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ ঠিকভাবে হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে সংসদ সদস্যদের পরামর্শ দিয়েছেন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।
“এসব কাজ দেশের জনগণের টাকায় বাস্তবায়ন হচ্ছে। পাই পাই করে হিসেব করে দেখবেন, এসব টাকা ঠিকভাবে খরচ হচ্ছে কি না। তাহলেই দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা প্রত্যাশা অনুযায়ী এগিয়ে যাবে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের পুরো অর্থই দেশের মানুষের অর্জিত অর্থ। এতে কারও আর্থিক সহায়তা নেই। প্রকল্পের প্রতিটি রড, ইট, পাথর, সিমেন্ট জনগণের টাকায় কেনা।
এই প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে এগিয়ে আসা, দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, তা নিয়ে টানাপড়েনের পর ‘জনগণের স্বার্থে’ তাদের ঋণ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
২০১৮ সালে পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। যা হলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীসহ দেশের অন্য অঞ্চলের সরাসরি সড়ক যোগাযোগের পথ খুলবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার প্রথম দিন থেকেই সড়ক পরিবহনের পাশাপাশি রেল চলাচল করবে। ফরিদপুর- ভাঙ্গা হয়ে বরিশাল পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সব মহাসড়কই চার লেইনে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
“ইতোমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক চার লেইনে উন্নীত করার কাজ শেষ হয়েছে। এরপর ছয় লেইন করা হবে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেইন হয়ে গেছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক একেবারে তামাবিল পর্যন্ত চার লেইন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে দরকার হলে ঢাকা-বরিশাল পথেও চার লেইন হবে।”