সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

শামীম খানঃ সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার বৈঠকে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় এ প্রস্তাব দেন তিনি।

সোমবার (২ মে) সকালে সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সূত্র জানায়, বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়ানোর প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ৬০ ভাগ, ৭০ ভাগ, ১০০ ভাগ, দেড় শ” ভাগ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা তো স্বচ্ছল। তারা খেতাবের ভাতা পান, সাধারণ ভাতা পান, শহীদের ভাতা পান, অনেকের বাড়ি-ঘর করে দেওয়া হয়েছে, তাদের কোনো সমস্যা নেই, তারা তো স্বয়ংসম্পূর্ণ। ভাতা বেশি করে বাড়ানো দরকার সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের।

সূত্র জানায়, এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেছেন, সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা অনেক কষ্টে আছেন। কারো কারো বাড়ি-ঘর নেই, রিকশা চালিয়ে, শ্রম দিয়ে কেউ কেউ জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়তে পারে কিন্তু এতো কেন? ভাতা তো বেশি বাড়া উচিত সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবটি ফেরত পাঠানোর পরামর্শ দেন এবং পরে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটা সমন্বয় করে প্রস্তাব তৈরির কথা বলেন।

সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের প্রশংসা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় এখন সুশৃঙ্খলভাবে চলছে। আগে এই মন্ত্রণালয়ে অনেক বিশৃঙ্খলা ছিলো। এখন সুশৃঙ্খলভাবে কাজ চলছে।

বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে এক পর্যায়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বিচারক (তদন্ত) আইন নিয়ে আলোচনা ওঠে। এই আইনের বিরোধিতা করায় ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করা হয়।

আলোচনাটি তোলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি (তোফায়েল) আইনমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, ৭২ সালে সংবিধান প্রণয়নের সময় এ আইনটি তো ড. কামাল হোসেনই করেছিলেন। এখন ড. কামাল হোসেন এই আইনের বিরোধিতা করছেন কেন?

এ সময় আইনমন্ত্রী অ্যাভোকেট আনিসুল হক বলেন, এর আগে ড. কামাল হোসেন এই ধরনের আইনের পক্ষে মত দিয়েছিলেন। আমার কাছে এর প্রমাণ আছে। তিনি (ড. কামাল) ভারতের উদাহরণ টেনে বলেছিলেন, ভারতের মতো এ ধরনের আইন আমরাও করতে পারি।

উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত্রের জন্য গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বিচারক (তদন্ত) আইন-২০১৬ পাস হয়।