খালেদার কাছে তথ্যের উৎস জানতে চেয়েছেন জয়

সজীব ওয়াজেদ জয়ের স্ট্যাটাস

সজীব ওয়াজেদ জয়ের স্ট্যাটাস

বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি ফেইসবুকে লিখেছেন, “ম্যাডাম, আপনি যদি জানেন যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার কোথায়, অনুগ্রহ করে আমাকে জানান। আমি সেই সমস্ত অর্থ এতিমদের দান করে দিতে চাই।”

জয়কে প্রাণনাশের চক্রান্তের মামলায় বিএনপি ঘনিষ্ঠ সম্পাদক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার এক সভায় খালেদা জিয়া বলেছিলেন, “সেই মামলার নথিতেই আছে প্রধানমন্ত্রীর পুত্রের একটি একাউন্টেই আড়াই হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ ৩০০ মিলিয়ন ডলার জমা আছে। এই টাকার কোথা থেকে গেছে? এই টাকার উৎস কী?”

জয়ের বিষয়ে তথ্য পেতে এফবিআইয়ের এক এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে প্রবাসী এক বিএনপি নেতার ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে এই কথা বলেছিলেন খালেদা।

ওই মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে সিজারের কারাদণ্ডের পর বাংলাদেশ পুলিশ জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ঢাকায় মামলা করে।

খালেদার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রোববার নিজের ফেইসবুক স্ট্যাটাসে জয় আরও লিখেছেন, “একজন মহিলা, যিনি এতিমের টাকা চুরি করেছেন, যার ছেলে দুর্নীতির কারণে এফবিআই কর্তৃক পলাতক আসামি, তার মতো লোকের অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর নাতির দিকে কাদা ছোড়া উচিত নয়।”

খালেদা জিয়ার ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো মুদ্রা পাচারের দায়ে দণ্ডিত। বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার দিকে ইঙ্গিত করে জয়ের মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে আসছেন, খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা ‘চুরি করে খেয়েছেন’।

জয় এই স্ট্যাটাস দেওয়ার আগে রোববার বিকালে ঢাকায় এক জনসভায় খালেদা জিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগ গত সাত বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।

“খালেদা জিয়া হলেন মিথ্যাবাদী এবং একজন চোর,” লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীপুত্র।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা জয় আরও বলেন, “আপনার (খালেদা) পোষা ভৃত্য মাহমুদুর রহমান এবং শফিক রেহমান এফবিআই এর গোপন নথি চুরি করে আমার সব ব্যাংক হিসাবের তালিকা পেয়েছে, কিন্তু সেই টাকা খুঁজে পায়নি। ১/১১ এর সামরিক শাসকেরা যারা আমার মাকে আটক করেছিল, তারাও সেটি খুঁজে পায়নি।

“এমনকি এফবিআই সেটি পায়নি। এটা এজন্য যে, আমি ৩০০ মিলিয়ন ডলারের কাছাকাছিও কোনো সম্পদ কোনোদিন অর্জন করিনি। আমি তত ধনী নই।”